আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেছেন, ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে এদেশের লাখ কোটি ছাত্র যুবক দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত ছিল। আজ সময় এসেছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের লাখ কোটি ছাত্র-যুবককে দেশ রক্ষার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি তথা দেশ ধ্বংসের জন্য একটি অপশক্তি দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এই অপশক্তি শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করে বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চায়। দেশ বিরোধী এই অপশক্তিকে প্রতিহত এবং নির্মূল করতে হবে।
আজ সোমবার চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত উপজেলার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রী কলেজ মাঠে ছাত্র সমাবেশে প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, এই অপশক্তিটি বেশ কয়েক বছর ধরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একের একের এক ষড়যন্ত্র করে পরাস্ত হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার উৎখাতের তাদের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েছে। সব ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে এই চক্র দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এই অপশক্তিটি বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কা বানানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই লক্ষ্যে তারা প্রতিদিন নানা গুজব ছড়াচ্ছে। তাদের একটাই উদ্দেশ্য বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করা। কারণ তাদের ধারণা, দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করতে পারলে শেখ হাসিনার সরকার উৎখাত হবে। তাই আমাদের সকলকে মুক্তিযুদ্ধের মতো দেশ রক্ষার জন্য অতন্ত্র প্রহরীর মতো কাজ করতে হবে। দেশবিরোধী এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারকে রক্ষা করা আর দেশ রক্ষা করা সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আমাদের সকলকে একদিকে যেমন দেশ রক্ষার জন্য কাজ করতে হবে, পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য শেখ হাসিনার সরকারকেও নিরাপদ রাখতে হবে।
ড. সেলিম বলেন, সাধারণত সরকার প্রধান বা রাষ্ট্রনায়করা সমকালীন সময় কিংবা দুই একটি প্রজন্মের কথা চিন্তা করে কর্ম-পরিকল্পনা করে। কিন্তু যারা মহানায়ক বা কালজয়ী রাষ্ট্রনায়ক তারা বহু প্রজন্ম কিংবা শতবর্ষ বা তারও অধিক সময়ের প্রজন্মের কল্যাণের কথা চিন্তা করে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। বাঙালির ইতিহাসে শেখ হাসিনা সেই মহানায়ক, কালজয়ী রাষ্ট্রনায়ক। যিনি বাংলাদেশের শতবছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করে সেটি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। চার দশকের বেশি সময় ধরে মৃত্যুর ঝুঁকিকে পরোয়া না করে এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা। আরও বক্তব্য রাখেন কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ুব আলী পাটোয়ারী, সাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দিন চৌধুরী সোহাগ, কচুয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর যুবলীগের সভাপতি মাহবুব আলম, কচুয়া উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মানিক ভৌমিক, পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, মনির হোসেন ও হাবিব মজুমদার জয়সহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়কবৃন্দ।