প্রাচীনতম দিনাজপুর পৌরসভার রাস্তাসহ বিভিন্ন স্থানের যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনায় ভাগারে পরিণত হয়েছে। ময়লা-আবর্জনা ফেলার নেই কোন নির্দিষ্ট স্থান। ফলে যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা। শহরের অনেক রাস্তার পাশে ময়লা-আবর্জনা দেখে যে কারো মনে হবে এটি ময়লা-আবর্জনার ভাগারের নির্ধারিত স্থান। এসব ময়লা পরিষ্কারের নেই কোনো উদ্যোগ। এতে পরিবেশ দূষণসহ স্বাভাবিক সুস্থ পরিবেশ নষ্ট করছে। পচা দুর্গন্ধে বায়ুদূষণের ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুসহ পৌরবাসী। এজন্য পর্যাপ্ত ডাস্টবিনের অভাব, জনবল সংকটসহ আর্থিক সমস্যাকে দায়ী করছে দিনাজপুর পৌর মেয়র।
প্রথম শ্রেণির দিনাজপুর পৌরসভা। প্রায় দেড়শ বছরের এই প্রাচীন পৌরসভা আগের যেকোনো সময়ের চেয়েও খারাপ অবস্থা বলছেন নাগরিকরা। প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ার ৩০বছর পার হলেও বাড়েনি নাগরিক সেবা। ফলে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনায় নষ্ট হচ্ছে স্বাভাবিক সুস্থ পরিবেশ। কোন এলাকায় পচা দুর্গন্ধ ময়লার কারণে পায়ে হেঁটে রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আবার বর্ষার এই সময়ে বৃষ্টির পানিতে এসব ময়লা-আবর্জনা মিশে একাকার হয়ে যায়।
স্কুল-কলেজ, পাবলিক লাইব্রেরি, মসজিদ-মন্দিরে যেতে আবর্জনার দুর্গন্ধে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেকে নাকে রুমাল বা অন্যকিছু ঢেকে পাশ দিয়ে পার হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা পাশ দিয়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। ময়লা-আবর্জনা সময় মত পরিষ্কার না হওয়ায় শহর যেমন অপরিচ্ছন্ন হচ্ছে, তেমনি মানুষের শরীরেও নানা রোগে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে পৌরবাসী। শহরবাসীও এসব যন্ত্রণা থেকে পরিত্রাণ চাইছেন বলে জানান পৌর নাগরিক ও স্থানীয় সমাজসেবক বিশ্বনাথ আগরওয়ালসহ পৌরবাসী।
এ অবস্থায় পৌরবাসী স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলে মনে করছেন কাউন্সিলররাও। দিনাজপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলাল জানায়, এর জন্য বর্তমান মেয়রের একনায়কতন্ত্র এবং সঠিক পরিকল্পনার অভাবকে দায়ী করেন তিনি।
দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের জানান, জনবল ও উপকরণ সংকটের কারণে অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হয়। ১৯৯০ সালে প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত এ ৫ লাখ মানুষের অধ্যুষিত দিনাজপুর পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে ১৬০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও ৫টি আবর্জনা পরিবহন ট্রাক রয়েছে। তবে পর্যায়ক্রমে শহরের সব ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর