রাজশাহীর পবা উপজেলার দর্শনপাড়া ইউনিয়নের তালুকধরমপুর গ্রামের এক কিশোরী (১৬) বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের স্বীকার হয়েছেন। অতঃপর দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গোট বুধবার রাতে ভুক্তভোগি ওই কিশোরী নিজেই অভিযুক্ত যুবককে আসামি করে আরএমপি'র কর্ণহার থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ভিকটিমকে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি)- এ পাঠিয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কর্ণহার থানার দর্শনপাড়া ইউনিয়নের তালুকধরমপুর গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে মো. মোরসালিন (২১) প্রতিবেশী (ভিকটিম) ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিকভাবে মেলামেশা করতে থাকে। ভিকটিমের দাবি মতে প্রায় ৪ মাস আগে থেকে মেলামেশার এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সে। এদিকে ভিকটিম বিয়ের জন্য চাপ দিলে মোরসালিন নানা টালবাহানা শুরু করে। শেষে বিয়ে করবে না বলে ভিকটিমকে জানিয়ে দেয়। এরপর বিয়ের দাবিতে মোরসালিনের বাড়িতে উঠে পড়লে ভুক্তভোগি কিশোরীকে মারধর করা হয়। এছাড়াও মোরসালিনের বাবা ইয়াছিন আলী কর্ণহার থানায় বিষয়টি জানায়। কর্ণহার থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এরপর ওই কিশোরী বাদি হয়ে মোরসালিনকে আসামি করে মামলা করলে ভিকটিমকে পরীক্ষার জন্য পুলিশ ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠায়।
এ ব্যাপারে কর্ণহার থানার ওসি ইসমাইল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ভিকটিম মামলা করলে পরীক্ষার জন্য ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি)তে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি আসামিকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। এদিকে মেয়ের বাবা-মা জানায়, ভিকটিম বর্তমানে ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ