পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় প্রতারক প্রেমিকের সাথে বেড়াতে গিয়ে এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সেই কিশোরী পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যার দিকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সোমবার সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন-আটোয়ারী উপজেলার মো. রাজু ও সাইফুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়ি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায়। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। গত শনিবার রাতে আটোয়ারী উপজেলার ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা বন্দরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরের দিন ওই স্কুলছাত্রীর বাবা ধর্ষণের অভিযোগে আটোয়ারী থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।মামলা সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে মোবাইল ফোনে পরিচয় হওয়া প্রেমিক হাসানের (২৫) ফোন পেয়ে তার সাথে দেখা করতে পঞ্চগড়ে আসে ওই কিশোরী। দেখা হওয়ার পর হাসানের মোটরসাইকেলে বেড়াতে যায় সে। রাত আনুমানিক ৮টার দিকে হাসান ও তার বন্ধু রাজু আটোয়ারী থানার ধামোড় ইউনিয়নের বন্দর পাড়া এলাকায় কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
এ সময় ওই কিশোরী তাদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে ওই এলাকার আরও পাঁচ ব্যক্তি সেখানে আসেন। তখন হাসান ও রাজু মেয়েটিকে রেখে পালিয়ে যান। পরে মেয়েটি ওই পাঁচ ব্যক্তির কাছে সাহায্য চাইলে তারাও মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তি মেয়েটিকে উদ্ধার করে পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর তার পরিবারকে ঘটনাটি জানালে রাতেই তাকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে ওই কিশোরী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কিশোরীর মা জানায়, শনিবার সকালে তার স্বামী নদীতে পাথর সংগ্রহের কাজে যান। পারিবারিক কাজে তিনি নিজেও ব্যস্ত ছিলেন। এই সুযোগে তার মেয়ে প্রেমিকের ফোন পেয়ে পঞ্চগড়ে আসে। সেখান থেকে প্রেমিক হাসানের মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে এই পরিস্থিতির শিকার হয়েছে।
কিশোরী জানায়, হাসানের সাথে ৩ মাস আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার পরিচয় হয়। ঘটনার দিন সে দেখা করতে বললে পঞ্চগড়ে এসে তার সাথে দেখা করে। বেড়াতে যাওয়ার নাম করে সে তার এক বন্ধুসহ আমাকে একটি নির্জন স্থানে নেয়। এরপর ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে আরও পাঁচজন সেখানে এসে তাকে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা জানান, ইতিমধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যার দিকে মামলার এজাহারভুক্ত দুজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে। অপরাধীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই