১১ আগস্ট, ২০২২ ১৯:২৪

স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসির আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

স্ত্রীকে হত্যার
দায়ে স্বামীর ফাঁসির আদেশ

রংপুরের বদরগঞ্জে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ডুমুর গাছে ঝুলিয়ে রাখার দায়ে স্বামী মমতাজ ওরফে সুলতানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২ এর বিচারক তারিক হোসেন এ রায় প্রদান করেছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামী আদালতে উপস্থিত ছিল। পরে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে সুমাইয়া আখতার শারমিনের সাথে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার খাগড়াবন্দ মধ্যপাড়া গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে মমতাজ ওরফে সুলতানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তারা দুজন বিয়ে করেন। এক বছর সুমাইয়া তারে বাবার বাড়িতেই বসবাস করে।

এরই মাঝে স্বামী মমতাজ ওরফে সুলতান পার্শ্ববর্তী গুচ্ছগ্রামের একটি মেয়ের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে সুমাইয়ার সাথে তার স্বামী সুলতানের ঝগড়া হয়। ২০১৯ সালের ৪ জুন স্বামী মমতাজ ওরফে সুলতান মোবাইল ফোনে তার স্ত্রী সুমাইয়াকে ডেকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী কুতুবপুর বালুয়াপাড়া গ্রামের যমুনেশ্বরী নদীর তীরে নিয়ে গিয়ে সেখানে কোব্বাদ আলী এক ব্যক্তির আখ ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে সুমাইয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গলায় ওড়না পেচিয়ে একটি ডুমুর গাছে ঝুলিয়ে রেখে চলে যায়। 
বদরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে নিহত সুমাইয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে বদরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ স্বামী মমতাজ ওরফে সুলতানকে গ্রেফতার করেন। আদালতে ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়। 

অতিরিক্ত পিপি নয়নুর রহমান টফি এ্যাডভোকেট জানান, মামলাটি সন্দেহাতিতভাবে প্রমান করতে সক্ষম হয়েছি। এ রায়ে তারা সন্তোষ্টি প্রকাশ করছি। 
আসামী পক্ষের আইনজীবী আবুল হোসেন বলেন, তার মক্কেল ন্যায্য বিচার পায়নি, এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল দায়ের করবেন।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর