১৬ আগস্ট, ২০২২ ২১:০৭

নলডাঙ্গায় বর্তমান মেয়রের হাতে সাবেক মেয়র লাঞ্ছিতের অভিযোগ

নাটোর প্রতিনিধি

নলডাঙ্গায় বর্তমান মেয়রের হাতে সাবেক মেয়র লাঞ্ছিতের অভিযোগ

নাটোরের নলডাঙ্গা পৌরসভার আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র মনিরুজ্জামান মনিরের বিরুদ্ধে সাবেক মেয়র পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আব্বাস আলী নান্নুকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। একই সময় মৎস্য আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেনকেও মেয়রের সহযোগীরা শাটের কলার ধরে টানা হেঁচড়া করে বলে অভিযোগ। 

নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকায় বেশি কিছু ঘটেনি। সমস্যা সমাধানে তিনি আগেই নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও মেয়র মনিরুজ্জামান মনিরের সাথে কথা বলেছিলেন। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও নলডাঙ্গা মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জানান, প্রায় ৫০ বছর থেকে নলডাঙ্গা মৎস্য আড়তদার সমিতির আওতায় উপজেলার ১৮জন আড়তদার রেলওয়ের জায়গায় মাছের আড়ত চালান। তাদের নিকট থেকে শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মাছ কিনে বাজারের অন্য স্থানে বিক্রি করেন। এর মাঝেই নলডাঙ্গা পৌরসভার সরকার দলীয় মেয়র মনিরুজ্জামান মনির আড়াত স্থানান্তর করার জন্য ৯টি ঘর তৈরী করে। এর মধ্যে চারটি ঘর অন্যদের কাছে হস্তান্তরও করেছে। এখন বাকি আড়তদারদের নতুন এই স্থানে এসে আড়ত দিতে বলেন। ঘরগুলোর প্রতিটির মাসে ১৮শ টাকা করে ভাড়া এবং ১০ হাজার টাকা করে এককালীন জামানত দিতে বলেন। নতুন এই আড়াতের জায়গায় গাড়ি প্রবেশ করা ও বের হওয়ার এবং পানি নিস্কাষনের কোনো ভালো ব্যবস্থা নেই। এসব সমস্যা নিয়ে সোমবার রাত ৯টার দিকে আড়তদারদের একটি প্রতিনিধি দল নলডাঙ্গা থানায় গিয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলামের সাথে কথা বললেন। পুলিশ কর্মকর্তা মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে সমস্যা সমাধান কিভাবে করা যায় তা নিয়ে কথা বলেন। মেয়রের সিদ্ধান্ত অমান্য করে মঙ্গলবার সকালে রেলওয়ের জায়গায় আড়তদারী শুরু করলে মেয়র ও তার লোকজন এসে বাঁধা দেয়। এ সময় মেয়র মনিরুজ্জামান মনির সাবেক মেয়র ও মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি আব্বাস আলী নান্নুকে ধাক্কা দিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন এবং মেয়রের সহযোগী আজিজুল ইসলাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেনকে শাটের কলার ধরে টানা হেঁচড়া করেন। 

মঙ্গলবার দুপুরে এ বিষয় নিয়ে নলডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান মনিরের সাথে কথা বললে তিনি সাবেক মেয়রকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আড়তদাররা মাছ কেনাবেচা করে চলে যায়, পরিস্কারও করে না আবার পৌরসভায় কোনো করও দেয় না। পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্সও নেয় না। আড়ত স্থানান্তর না করলে পৌর এলাকার স্কুল কলেজগামী ছাত্রছাত্রী ও অন্য ব্যবসায়ীদের অসুবিধা হয়। 

তিনি আরও বলেন, রাস্তার পাশে আড়ত থাকার কারণে হাঠের দিন সাধারণ মানুষের চলাচলে খুব অসুবিধা হয়। শতাধিক ব্যবসায়ী তার কাছে লিখিত আবেদন করায় তিনি আড়ত স্থানান্তর করার সিন্ধান্ত নেন। তিনি বাজার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছেন মাত্র। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর