দলগতভাবে পদ্মা সেতু দেখার পর বাসে কুয়াকাটা যাচ্ছিলেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ৪০ জন মানুষ। পথিমধ্যে উজিরপুরে খাবার খেতে নেমে আরেক বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেলো আতিকুর রহমান (৫০) নামে এক ব্যক্তির। শেষ পর্যন্ত কুয়াকাটা না গিয়েই তার মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন নিহতের বন্ধু ও স্বজনরা।
নিহত আতিকুর রহমান মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামের মৃত ইউসুফ ফকিরের ছেলে।
উজিরপুর থানার ওসি মো. মোমিন উদ্দিন জানান, গাংনী উপজেলার ৪০ জন ব্যক্তি গত মঙ্গলবার বাসযোগে পদ্মা সেতু দেখার পর কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে খাবার খাওয়ার জন্য উজিরপুরে যাত্রা বিরতি করে তারা। খাবার খাওয়ার আগে টয়লেটে যান আতিক। টয়লেট শেষে মহাসড়ক পাড় হয়ে রেস্তোরায় ফিরছিলেন তিনি। এ সময় একটি বাস তাকে ধাক্কা দিলে মহাসড়কে ছিটকে পড়েন তিনি। বন্ধু ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আতিককে মৃত ঘোষণা করেন।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি মো. বেল্লাল হোসেন জানান, নিহতের বন্ধু ও স্বজনদের কোন অভিযোগ না থাকায় আতিকুর রহমানের মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে নিয়ে যায় তারা। ঘাতক বাসটি আটক করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ