১৯ আগস্ট, ২০২২ ১৮:৪৯

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিধবাকে ধর্ষণের অভিযোগ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিধবাকে ধর্ষণের অভিযোগ

গোপালগঞ্জে ধর্ষণ, যৌন হয়রানির প্রতিবাদে ও বিয়ের দাবিতে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক বিধবা নারী।

আজ শুক্রবার সকালে ওই নারী নিজ বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলন করেন। সদর উপজেলার ১৪নং করপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমানের (সোনা মিয়া) বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ এনে বিয়ের দাবি করেন তিনি।

এর আগে ভুক্তভোগী ওই নারী গত ১৪ আগস্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। 

সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‌‘৬ মাস আগে এস এম হাবিবুর রহমান (সোনা মিয়া) আমার বাড়িতে এসে বলেন, কিশোরকাল থেকে আমি তোমাকে ভালোবাসি, এখনো তোমাকে ভালোবাসি, আর যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন তোমাকে ভালোবেসে যাব। এমন কথা বলে চেয়ারম্যান আমার প্রতি বিশ্বাস তৈরি করেন। পরে আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, তোমার লোকজন নিয়ে আমার নির্বাচন করো এবং নির্বাচনের পর তোমাকে বিয়ে করব।’

তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান নির্বাচনকালিন সুকৌশলে আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নেন এবং বিয়ে করার মিথ্যা প্রলোভন দেন। নির্বাচনের পর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে নিয়ে আমার সাথে শারীরিক মেলামেশা করেন। সর্বশেষ গত ৩১ মে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টায় করপাড়া রুহুল আমিনের পরিত্যক্ত ফাঁকা বাড়ির পুকুরের ঘটলায় আমাকে ধর্ষণ করেন। এরপর থেকে তাকে বিয়ে করার কথা বললে তিনি অস্বীকার করেন। চেয়ারম্যান আমার মানসম্মান নষ্ট করেছে। এলাকায় আমার মুখ দেখানো দায় হয়ে পড়েছে। তাই আমি বিয়ে করার দাবি করছি। তা নাহলে আত্মহত্যা ছাড়া আমার উপায় থাকবে না।’

এ ব্যাপারে করপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান (সোনা মিয়া) মুঠোফোনে বলেন, ‘আমাকে হেয় করতে নির্বাচনে পরাজিতরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। যাতে আমার চেয়ারম্যান পদ চলে যায়। সেজন্য এই অভিযোগ করা হচ্ছে। ওই নারীর সাথে আমার কোনো দিনই আর্থিক ও শারীরিক সম্পর্ক ছিল না। তবে নির্বাচনে ওই নারী আমার দল করেছেন, আমার জন্য ভোট চেয়ে আমার পক্ষে কাজ করেছেন।’

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর