চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া নৌঘাট উপকূলে সার্ভিস বোট (যাত্রীবাহী ট্রলার) থেকে লাইফ বোটে (লাল বোট) নামতে গিয়ে এক যাত্রী নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দুপুরের দিকে সীতাকুণ্ডের কুমিরা উপকূল থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া উপকূলে সার্ভিস বোটটি পৌঁছালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তবে ঘাট কর্তৃপক্ষের দাবি, নিখোঁজ যাত্রী ট্রলার থেকে পড়ে যাওয়ার পর সাঁতার কেটে উপকূলের তীরে পৌঁছেছেন। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রীরা বলছেন, দুর্ঘটনায় পড়া ওই যাত্রী সাগরে পড়ে যাওয়ার পর লাল বোট বা সার্ভিস বোটের লোকজন যাত্রীকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেননি। তিনি ফিরে আসেননি।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল সন্দ্বীপ উপকূলে এ ঘাট দিয়ে চলাচলকারী একটি স্পিডবোট দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিন শিশুসহ মোট চারজনের মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রী তানভীর মাহমুদ বলেন, কুমিরা নৌঘাট থেকে সকাল ৯টার দিকে একটি সার্ভিস ট্রলার যাত্রী নিয়ে সন্দ্বীপের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সার্ভিস বোটটি সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে এসে পৌঁছায়। সন্দ্বীপ চ্যানেল খুবই উত্তাল ও প্রচন্ড বাতাস ছিল। সার্ভিস বোটটি উপকূলের বাইরে নোঙর করে। এ সময় যাত্রী নামানোর জন্য তিনটি লাল বোট আসে। দুটি লাল বোটে যাত্রী উপকূলে পৌঁছায়।
তৃতীয় বোটে প্রথমে তাঁরা চারজন যাত্রী নামেন, এরপর একজন ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তি নামার সময় লাল বোটটি ঢেউয়ের কারণে সার্ভিস ট্রলার থেকে কিছুটা দূরে সরে যায়। এতে তিনি সাগরে পড়ে যান। অন্য যাত্রীরা সাগরে পড়ে যাওয়া যাত্রীকে উদ্ধারে চেষ্টা করলেও লাল বোটের শ্রমিকেরা এগিয়ে আসেননি। এরপর তিনি ডুবে যান। অনেকক্ষণ পর লাল বোটের লোকেরা নিখোঁজ যাত্রীকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তার খোঁজ মিলেনি।
ঘাটের ইজারাদার এসএম আনোয়ার হোসেন বলেন, সন্দ্বীপ উপকূলে সার্ভিস ট্রলার থেকে এক যাত্রী যাওয়ার সময় সাগরে পড়ে যান। পরে ওই যাত্রী সাঁতার কেটে তীরে পৌঁছেছেন বলে ঘাটের শ্রমিকরা আমাকে জানিয়েছেন। সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, একজন যাত্রী নদীতে পড়েছেন বলে শুনেছি। তবে ঘাট ইজারাদার বলছেন পড়ে যাওয়া যাত্রী উঠে চলে গেছেন। এ ব্যাপারে আর কোনো তথ্য পাইনি। বিষয়টির খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর