রাজশাহীর তালাইমারী এলাকায় পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় তিনজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও বিজিবি সদস্যরা। এ ঘটনায় আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
তবে স্থানীয়রা আরও এক নারী নিখোঁজের কথা বলছেন। যদিও তার নাম জানা যায়নি বা তার ব্যাপারে আর অন্য কোনো তথ্য পায়নি ফায়ার সার্ভিস। তাই নিখোঁজের সংখ্যা তিনজন ধরেই তাদের উদ্ধারের জন্য পদ্মা নদীতে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ডুবুরি ইউনিট।
পদ্মা নদী থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া তিনজন হলেন সেন্টু মিয়া (২৫), আব্দুস সালাম (৩০) ও আনারুল ইসলাম (৪৮)। বর্তমানে নিখোঁজ রয়েছেন সাদেক আলী (৫৫), নজরুল ইসলাম (৫০) ও গোলাম নবী (৬০)। গোলাম নবীর বাড়ি মহানগরীর মতিহার থানার ডাঁসমারী সাতবাড়িয়া এলাকায়। অন্য দু'জনের বাড়ি মিজানের মোড় এলাকায়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দফতরের উপ-সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, রবিবার সকাল আনুমানিক ৮টা থেকে সোয়া ৮টার দিকে একটি নৌকা নিয়ে নারী-পুরুষসহ ২২ জন যাত্রী রাজশাহীর তালাইমারী বিজয় নগর শাহপুর এলাকার ঘাট দিয়ে মধ্য চরে যাচ্ছিলেন। তারা চরে গিয়ে কৃষি জমিতে চাষবাস করেন। নৌকায় বেশি যাত্রী নেওয়ায় মাঝ নদীতে গিয়ে প্রবল স্রোতের তোড়ো তাদের ওই নৌকায় পানি ওঠে। এক পর্যায়ে ওই নৌকাটি নদীতে তলিয়ে যায়। পরে সাঁতরিয়ে ওই নৌকার ১৮ জন যাত্রী পাড়ে উঠে আসলেও তিনজন নদীতেই তলিয়ে যান। এখনও তারা নিখোঁজ আছেন।
এদিকে, ওই একই সময় সেখান দিয়ে ঘাস বোঝাই আরও একটি ডিঙ্গি নৌকা তিনজন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল। ওই নৌকাটিও সেখানে ডুবে যায়।
পরে বিজিবি সদস্যদের সহযোগিতায় ওই তিনজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। বর্তমানে পদ্মা নদীতে নিখোঁজ তিনজনের খোঁজে উদ্ধার তৎপরতা চলছে বলেও জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দফতরের উপ-সহকারী পরিচালক।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন