ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় গরু চুরির ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। গত (৫-১১ সেপ্টেম্বর) ১ সপ্তাহে উপজেলায় চুরি হয়েছে ১৪টি গরু। প্রায় প্রতি রাতেই গরু চুরি কিংবা চুরির চেষ্টার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এসব ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত কোন গরু চোরকে ধরতে পারেনি। নিরুপায় হয়ে অনেক গৃহস্থ রাত জেগে গরু পাহারা দিচ্ছেন।
আমিরাবাদ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সফরপুর গ্রামের সাহেবের হাট এলাকায় ১০ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে একজন খামারীর ৩টি গরু চুরি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। চুরি যাওয়া গরুর মালিক নুর নবী বাবুল জানান, রাত ১টা পর্যন্ত গরুগুলো গোয়াল ঘরে ছিল, কিন্তু ভোরে দেখি গোয়ালঘরের দরজার তালা ভেঙে ৪টি গরুর মধ্যে ৩টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে। ৩টি গরুর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪ লাখ টাকা বলেও তিনি দাবি করেন।
গত ৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে মতিগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম ভোয়াগ এলাকা থেকে কৃষক নূর নবীর ১টি গরু চুরি হয়ে যায়। নুর নবী জানান, তিনি রাস্তার পাশে একটি গাছের সাথে গরুটি বেধে রেখেছিল ঘাস খাওয়ার জন্য। আধা ঘন্টা পরে এসে দেখেন গরু নাই। বুধবার ৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে আমিরাবাদ ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের খামারে ৩টি গরু চুরির ঘটনা ঘটে। গত ৫ সেপ্টেম্বর সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে দক্ষিন মঙ্গলকান্দি ও আকিলপুর এলাকায় পৃথক দুই মালিকের তিনটি গরু চুরি হয়। তার আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর রবিবার পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে পোষ্ট মাস্টার বাড়ির রফিকুল ইসলাম হুজুরের পালিত ২টি গরু এবং চরদরবেশ ইউনিয়নের উত্তর চর সাহাভীকারী গ্রামে করিমুল হক হুজুরের বাড়ির বিধবা ফাতেমা খাতুনের পালিত ২টি গরুও চুরির ঘটনা ঘটে।
চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করে আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুল হক হিরণ জানান, পুলিশ, চৌকিদার ও স্থানীয় ইউপি মেম্বারকে নিয়ে ইতোমধ্যে চোর সনাক্তের চেষ্টা করছি। হঠাৎ করে চুরি বেড়ে যাওয়ায় এলাকায় সতর্কতা ও টহল জোরদার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খালেদ দাইয়ান বলেন, পুলিশ চুরি ঠেকাতে সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছেন। চুরির ঘটনায় থানায় মামলাও হয়েছে।
সোনাগাজী-দাগনভূঞার সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাশফুর রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখার জন্য পুলিশ রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন। প্রত্যেক ইউনিয়নে রাত্রিকালিন সময় পুলিশ গ্রামপুলিশের সাথে মিলে সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে। অতিশিগগিরই এর একটি সুফল পাওয়া যাবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল