সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে কলেজের অধ্যক্ষের উপর হামলায় অভিযুক্ত দুই ভাতিজাকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এক ইউপি চেয়ারম্যান।
রবিবার রাতে ভাতিজা দেলোয়ার ও মুখলেছকে পুলিশে দেন বাংলাবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন।
তাদেরকে কলেজ অধ্যক্ষের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানান দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবদুলাল ধর।
সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, কলেজের অধ্যক্ষের উপর হামলার ঘটনার নিন্দার পাশাপাশি চেয়ারম্যান কর্তৃক অভিযুক্ত ভাতিজাদের পুলিশে দেওয়ার প্রশংসা করেছেন স্থানীয়রা।
পুলিশ জানায়, রবিবার দুপুরে কলেজের নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বড়খাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নজীর আহম্মদকে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে পিটিয়ে জখম করেন চার যুবক। তারা হলেন বড়খাল গ্রামের আবদুল মান্নানের পুত্র দেলোয়ার হোসেন, আবদুল মোক্তাদিরের পুত্র মোখলেছুর রহমান ও ফয়জুর রহমান এবং আবদুল মতিনের পুত্র সোহাইব আহমদ। পরে আহত অধ্যক্ষকে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় নিন্দার পাশাপাশি অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি ওঠে।ওই ঘটনায় দেলোয়ার হোসেন, মোখলেছুর রহমান, ফয়জুর রহমান ও সোহাইব আহমদকে আসামি করে দোয়ারাবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন কলেজ অধ্যক্ষ নজীর আহম্মেদ।
ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, আমার ভাতিজারা অন্যায় করেছে, তাই একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করেছি। আইনানুগভাবে তাদের বিচার হবে। অভিযুক্ত ওপর দুই ভাতিজাকেও শিগগিরই আদালতে আত্মসমর্পণ করাবেন বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল