বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে বিপৎসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে জোয়ারের পানি। জোয়ারের পানিতে বাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে জেলায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
এদিকে গত দুইদিন ধরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্নসহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে ভোলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারে ভোলার নিম্নাঞ্চল দুই থেকে তিন ফুট প্লাবিত। এতে করে দিনে দুইবারের জোয়ারে বিচ্ছন্ন চরাঞ্চলসহ বাঁধের বাইরের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এছাড়া জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইলিশা ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে ডুবে গিয়ে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, জোয়ারের পানিতে ভোলার রাজাপুর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাইরে প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ছে। দিনে ও রাতে দুইবার তাদের পানিবন্দী থাকতে হচ্ছে। এছাড়া দৌলতখান উপজেলার মদনপুরা, তজুমদ্দিনের চরজহিরউদ্দিন, চরফ্যাশনের ঢালচর, চর কুকরিমুকরি, মনপুরার কলাতলির চরসহ প্রায় ১০ থেকে ১২টি চরের বাসিন্দা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান জানান, সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে কোনো প্রকার ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আরো দুই-তিন দিন এই জোয়ার অব্যাহত থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই