নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফেরার পথে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলুর উপর হামলার প্রতিবাদে বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করেছে।
রবিবার দুপুরে চৌমুহনী প্রধান সড়কে বেগমগঞ্জ উপজেলা ও চৌমুহনী পৌর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহসিন আলম, বিএনপির নেতা আহছান উল্যাহ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন, যুবদলের আহ্বায়ক রুস্তম আলীসহ বিএনপি, যুবদল, শ্রমিকদল, কৃষক দল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে জেলা বিএনপির উদ্যোগে রবিবার বিকেলে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহাজাহান। আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি এবিএম জাকারিয়া, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, জেলা বিএনপি নেতা মাহবুব আলমগীর আলো, আবু নাছের, ওমর ফারুক টপি, অ্যাডভোকেট শাহাদাত, ভি.পি জসিম, জেলা কৃষক দলের সভাপতি ভিপি পলাশ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আজগর উদ্দিন দুখু।
এর আগে বুলুর উপর হামলার প্রতিবাদে শনিবার রাত ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা চৌমুহনী গণমিলনায়তনের সামনে থেকে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল করে। মিছিলটি চৌমুহনী বড় পোল এলাকায় পৌঁছালে একদল পুলিশ মিছিলের পেছন থেকে এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জ করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশের ধাওয়ায় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান ওরফে দিপুসহ বিএনপির সহযোগী সংগঠনের ৮ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে বিএনপির নেতাকর্মীরা দাবি করেন। এ সময় পুলিশ যুবদল ও ছাত্রদলের তিন কর্মীকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন মো. সজীব (৩৮), মোর্শেদ আলম (৩৮) ও মো. শিমুল (২৬)। এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ মডেল থানার (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, মিছিলটি থেকে শহরে নাশকতার আশঙ্কা থাকায় মিছিলকারীদের ধাওয়া করে পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করেছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল