ফরিদপুরের ভাঙ্গা দেওড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের চার এসএসসি পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফেরার পথে ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পরীক্ষার্থীরা পরের পরীক্ষায় অংশ নিতে ভয় পাচ্ছেন।
গতকাল এ ঘটনায় ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. মোশাররফ মোল্লা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর চার এসএসসি পরীক্ষার্থী ভাঙ্গা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মালীগ্রাম বাজার সংলগ্ন গোয়ালদী ব্রিজের ওপর থেকে মালীগ্রামের বাসিন্দা রাজু শিকদার, হেমায়েত শিকদার, রোমান শিকদার ও সেলিম নামে চার বখাটে ইজিবাইকের গতিরোধ করে ইভটিজিং করে।
এ সময় এক পরীক্ষার্থীর ভাই অটোচালক হৃদয় মোল্লা ইভটিজিংয়ে বাধা দিলে তাকে চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি দিয়ে বাজে মন্তব্য করে এবং তার ইজিবাইকের চাবি ছিনিয়ে নেয়। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
ভুক্তভোগী এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক মো. মোশাররফ মোল্লা বলেন, আমরা মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বাসিন্দা। এখন আমরা খুব দুশ্চিন্তায় আছি মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে। আমরা চাই অবিলম্বে ইভটিজারদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাজাহান মোল্লা বলেন, আমরা পার্শ্ববর্তী জেলার বাসিন্দা হলেও আমাদের নানা কাজ ভাঙ্গা উপজেলায় করি। আমাদের ছেলে-মেয়েরা ভাঙ্গার দেওড়া উচ্চ বিদ্যালয় পড়াশোনা করে। আমাকে পরীক্ষার্থীর অভিভাবকরা বিষয়টি জানালে আমি ভাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান ও ওসিকে অবহিত করেছি। অবিলম্বে ইভটিজারদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।
ভাঙ্গার দেওড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইকরাম আলী বলেন, আমি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। পরে সভাপতি, আমি ও এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক মিলে গত বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরীক্ষার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে। এছাড়া দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য জোর দাবি জানাই।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ