নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তাসনিয়া হোসেন অদিতাকে (১৪) হত্যার আসামি আব্দুর রহিম রনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিযেছেন।
শনিবার রাত পৌনে ৮টায় নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঘটনার মূল আসামি গৃহশিক্ষক আব্দুর রহিম রনি ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ভিক্টিম তাসনিয়া হোসেন অদিতাকে (১৪) ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যা করেন বলে স্বীকার করেছেন। আসামি বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।
তবে এর আগে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, টিউশনি থেকে বাদ দেওয়ায় ক্ষোভে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর খুন করেন গৃহশিক্ষক আবদুর রহিম রনি।
ভিক্টিমের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে সুধারাম থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ঘটনার মূল আসামি আবদুর রহিম রনিসহ এ পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে মূল আসামি আবদুর রহিম রনিকে ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত এবং তার রিমান্ড চলছে। বাকিদের ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নোয়াখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেরুন নেছা ও হরিনারায়ণ পুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল আলিম বলেন, আমরা প্রত্যেকেই যার যার জায়গায় দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোথাও কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা দেখলে দাঁড়াতে হবে এবং সমাধান করতে হবে। কিশোর গ্যাং গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি এবং অদিতা হত্যাকারীদের দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি জানান।
অপরদিকে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম জানান, অপরাধী শনাক্তে চৌমুহনী ও মাইজদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ২০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
উলেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা শহর মাইজদীতে নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসমিয়া হোসেন অদিতাকে (১৪) ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যা করা হয়। নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধারের পরপর পুলিশের একাধিক দল পৃথক অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি সাবেক গৃহশিক্ষক আবদুর রহিম রনি (২৫), ইসরাফিল (১৪), তার ভাই সাঈদকে (২০) গ্রেফতার করে। গতকাল আদালত রনির ৩ দিনের মঞ্জুর করেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ