ভোলা জেলার ১১৬টি পূজামণ্ডপে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আয়োজক কমিটির নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে র্যাব,পুলিশ, কোস্টগার্ড এবং আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি মণ্ডপ থাকছে সার্বক্ষণিক সিসি টিভির আওতায়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে নিরাপত্তা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
এ সময় পুলিশ সুপার আরও বলেন, এ বছর ভোলা জেলায় ১১৬টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন হচ্ছে। এর মধ্যে ভোলা সদর থানায় ২৭টি, দৌলতখান থানায় ৮টি, তজুমদ্দিন থানায় ১৬টি, বোরহানউদ্দিন থানায় ২০টি, লালমোহন থানায় ২২টি, চরফ্যাসন থানায় ৬টি, মনপুরা থানায় ১০টি, শশীভুষণ থানায় ১টি ও দুলারহাট থানায় ৬টি পূজামন্ডপ রয়েছে। এর মধ্যে ৩২টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ, ৪১টি গুরুত্বপূর্ণ ও ৪৩টি সাধারন পূজা মন্ডপ রয়েছে।
ইতিমধ্যে ভোলা জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যদের সাথে জেলা পুলিশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি মন্ডপে একজন করে পুলিশ অফিসারসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ফোর্স ও আনসার সদস্য মোতয়েন করা হবে।এছাড়াও উপকূলীয় অঞ্চলে কোস্ট গার্ডের নিজস্ব টহল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ চেকপোস্ট, সার্বক্ষণিক মোবাইল টিম ও সাদা পোষাকে পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপ সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত থাকবে। ১১৬টি পূজা মন্ডপের মধ্যে ৯৪টি মন্ডপে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপণ করা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রতিটি মন্ডপে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল এর মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, পূজামন্ডপে আশপাশে মেলা ও জুয়ার আসর বসানো যাবে না। এছাড়া পূজা উদযাপনকালে সড়ক-মহাসড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভোলা প্রেস ক্লাব সভাপতি এম হাবিুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ রায় অপু, সহ-সভাপতি জুন্নু রায়হান প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এএ
