শিরোনাম
- পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৬ কর্মকর্তাকে রদবদল
- জনগণকে যারা বাদ দিয়েছে, তারাই আজ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন : খোকন
- রূপগঞ্জে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
- ৫০০ মিটার সেতুর অভাবে তিন জেলার মানুষের ভোগান্তি
- নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার ‘পিএস মাহসুদ’ চালু
- নোয়াখালীতে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা-র্যালি
- হুথিদের হামলা বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের
- নির্বাচিত সরকার ভোলার গ্যাস সমস্যার সমাধান করবে : শিল্প উপদেষ্টা
- ৭৭ বছরে পা দিলেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস
- আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
- স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
- বেতার শিল্পী আফরোজা নিজামীর পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান
- নতুন করে সংঘর্ষের পর থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়াকে ট্রাম্পের ফোন
- ‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
- সুইডিশ যুদ্ধবিমান কিনতে ৪.৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি কলম্বিয়ার
- বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
- অ্যাপলের ‘আইফোন পকেট’: মোজার মতো একখানা পণ্যের দাম ২২৯ ডলার!
- বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
পুলিশ সেজে পুলিশের সঙ্গে প্রতারণা; ১০ বছরের সাজা
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন
পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে এক পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে পৌনে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে করা মামলার রায়ে সোহাগ মাহমুদ বাপ্পী ওরফে রনি নামের এক ব্যক্তিকে ২টি ধারায় ৫ বছর করে মোট ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার সকালে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এ রায় দেন।
একই সঙ্গে আসামিকে ৫ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে মোট ১২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত সোহাগ মাহমুদ গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বাসিন্দা। মামলার তদন্তকালে তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন। জামিনে মুক্তি পেয়ে বর্তমানে তিনি পলাতক।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর বগুড়া পুলিশ লাইনসে কর্মরত কনস্টেবল রবিউল ইসলাম মামলাটি করেন। তার বাড়ি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায়। মামলার এজাহারে তিনি কোনো আসামির নাম উল্লেখ করেননি। পুলিশের তদন্তে সোহাগ মাহমুদ ধরা পড়েন। তিনি মোবাইল ফোনে বগুড়ার পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে কনস্টেবল রবিউলের কাছ থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া পুলিশ লাইনসে কর্মরত তৎকালীণ পরিদর্শক (আরআই) মো. জয়নাল আবেদীন ঘটনার দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রবিউলকে একটি ফোন নম্বর ধরিয়ে দিয়ে বগুড়া সদর থানার আকবরিয়া হোটেলের সামনে গিয়ে কথা বলতে বলেন। পথে সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) নাজমুল হোসেনও তাকে ওই ফোন নম্বরে কথা বলতে বলেন।
তিনি ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে ফোনের অন্য প্রান্ত থেকে পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে সাতমাথা এলাকার কোনো দোকানে রকেটের ব্যক্তিগত হিসাব আছে কি না, দেখতে বলেন। সপ্তপদী মার্কেটের একটি দোকানে রকেট হিসাব আছে জানানোর পর ফোনটি দোকানিকে দিতে বলেন। ফোনের অন্য প্রান্ত থেকে দোকানিকে টাকা পাঠানোর বিষয়টি বুঝিয়ে বলা হয়। তখন দোকানি রবিউলকে বলেন, পুলিশ সুপার স্যারের আত্মীয় অসুস্থ, তাই টাকা পাঠাতে বলছেন। পরে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়ে স্যারের লোক এখানে আসবেন। এরপর দোকানির রকেট হিসাব থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পাঠানো হয়। কিন্তু পরে কেউ টাকা নিয়ে আসেননি। ফোন নম্বরটিও বন্ধ হয়ে যায়।
রায়ে উল্লেখ করা হয়, আসামির হাজতবাস মূল কারাদণ্ড থেকে বাদ যাবে। পলাতক থাকায় তার গ্রেফতার বা আত্মসমর্পণের তারিখ থেকে সাজা কার্যকর হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর