শিরোনাম
- বৈষম্যবিরোধী আইন প্রবর্তনে দলগুলোকে অঙ্গীকারের আহ্বান দেবপ্রিয়র
- চার লাখ যথেষ্ট নয়, শামির কাছে ভরণপোষণ বাবদ ১০ লাখ দাবি হাসিনের
- অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় হারে সেমির স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের
- শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা
- গোপালগঞ্জে প্রণোদনার বীজ-সার পেল ২৮২০ কৃষক
- লেবাননে হাসপাতালের কাছে ড্রোন হামলা চালাল ইসরায়েল
- ঢাকার আকাশ সন্ধ্যা পর্যন্ত মেঘলা থাকতে পারে
- বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
- সিরাজগঞ্জে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
- ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে মার্কিন মাদকবিরোধী অভিযানের সমালোচনায় ম্যাঁখাে
- বগুড়ায় জমজমাট নির্বাচনি প্রচারণা
- ইরানে প্রাচীন বিজয়ের স্মৃতিস্তম্ভ উন্মোচন, শত্রুর প্রতি সতর্কবার্তা
- মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!
- সরাইলে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
- নতুন ১৬ নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার বিষয়ে ইসির গণবিজ্ঞপ্তি
- রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ২১
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে জামায়াত প্রার্থীর মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা
- ফের বিশ্বকাপে খেলার ইঙ্গিত দিলেন মেসি!
- গ্রামীণফোনকে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় বসুন্ধরা স্ট্রাইকসের
- করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি শিপিং চালু করল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ
পুলিশ সেজে পুলিশের সঙ্গে প্রতারণা; ১০ বছরের সাজা
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন
পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে এক পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে পৌনে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে করা মামলার রায়ে সোহাগ মাহমুদ বাপ্পী ওরফে রনি নামের এক ব্যক্তিকে ২টি ধারায় ৫ বছর করে মোট ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার সকালে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এ রায় দেন।
একই সঙ্গে আসামিকে ৫ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে মোট ১২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত সোহাগ মাহমুদ গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বাসিন্দা। মামলার তদন্তকালে তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন। জামিনে মুক্তি পেয়ে বর্তমানে তিনি পলাতক।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর বগুড়া পুলিশ লাইনসে কর্মরত কনস্টেবল রবিউল ইসলাম মামলাটি করেন। তার বাড়ি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায়। মামলার এজাহারে তিনি কোনো আসামির নাম উল্লেখ করেননি। পুলিশের তদন্তে সোহাগ মাহমুদ ধরা পড়েন। তিনি মোবাইল ফোনে বগুড়ার পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে কনস্টেবল রবিউলের কাছ থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া পুলিশ লাইনসে কর্মরত তৎকালীণ পরিদর্শক (আরআই) মো. জয়নাল আবেদীন ঘটনার দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রবিউলকে একটি ফোন নম্বর ধরিয়ে দিয়ে বগুড়া সদর থানার আকবরিয়া হোটেলের সামনে গিয়ে কথা বলতে বলেন। পথে সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) নাজমুল হোসেনও তাকে ওই ফোন নম্বরে কথা বলতে বলেন।
তিনি ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে ফোনের অন্য প্রান্ত থেকে পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে সাতমাথা এলাকার কোনো দোকানে রকেটের ব্যক্তিগত হিসাব আছে কি না, দেখতে বলেন। সপ্তপদী মার্কেটের একটি দোকানে রকেট হিসাব আছে জানানোর পর ফোনটি দোকানিকে দিতে বলেন। ফোনের অন্য প্রান্ত থেকে দোকানিকে টাকা পাঠানোর বিষয়টি বুঝিয়ে বলা হয়। তখন দোকানি রবিউলকে বলেন, পুলিশ সুপার স্যারের আত্মীয় অসুস্থ, তাই টাকা পাঠাতে বলছেন। পরে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়ে স্যারের লোক এখানে আসবেন। এরপর দোকানির রকেট হিসাব থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পাঠানো হয়। কিন্তু পরে কেউ টাকা নিয়ে আসেননি। ফোন নম্বরটিও বন্ধ হয়ে যায়।
রায়ে উল্লেখ করা হয়, আসামির হাজতবাস মূল কারাদণ্ড থেকে বাদ যাবে। পলাতক থাকায় তার গ্রেফতার বা আত্মসমর্পণের তারিখ থেকে সাজা কার্যকর হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর