৩ অক্টোবর, ২০২২ ১৬:৫৭

পঞ্চগড়ে নৌকা ডুবির তদন্ত রিপোর্ট জমা, উদ্ধার অভিযান সীমিত

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ে নৌকা ডুবির তদন্ত রিপোর্ট জমা, উদ্ধার অভিযান সীমিত

পঞ্চগড়ের আউলিয়া ঘাটে নৌকা ডুবির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে।

ঘটনার দিন রাতেই ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করে তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু নৌকাডুবির সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তদন্ত কমিটির সদস্যরা। পরে তারা আরও তিন দিন সময় নেন। সবশেষে গতকাল রবিবার রাতে তারা তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন।

আজ সোমবার দুপুরে সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম তদন্ত সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।

এ সময় তিনি বলেন, আমাদের গঠিত ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি একটা তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছে। এ ঘটনার সাথে ঘাটের মাঝি, ইজারাদার, ওই দিন উপস্থিত কেউই সচেতন ছিলেন না। তদন্তে এসব বিষয় উঠে এসেছে। এ ছাড়া পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস তদন্ত করছে। তারা এখনো রিপোর্ট জমা দেননি। আমরা সংশ্লিষ্ট সরকারের কাছে পাঠিয়েছি।

এদিকে টানা আটদিন ধরে চলা উদ্ধার অভিযান সীমিত করা হয়েছে। ফায়ার সাার্ভিসের পঞ্চগড় স্টেশন মাস্টার তুষার কান্তি এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে ফায়ার সার্ভিসের রংপুর, রাজশাহী ও কুড়িগ্রামের আটটি ইউনিটে ৭০ জনের ডুবুরি দল কাজ করছিল। সোমবার ভোর থেকে ফায়ার সার্ভিসের শুধুমাত্র বোদা থানার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি দল উদ্ধার কাজে অংশ নিচ্ছেন।

ফায়ার সার্ভিসের বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা শাহজাহান আলী জানান, ৭ জন সদস্য নদীর বালুচড়গুলোতে মরদেহ খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রেখেছেন। তবে স্পিডবোট নেই সাধারণ নৌকায় চড়ে মরদেহ খোঁজা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ সেপ্টেম্বর রবিবার পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নে করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাটে প্রায় দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা পানির নিচে ডুবে যায়। সরকারি তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে তিনজন। এদের মধ্যে দু’জন পুরুষ ও একজন শিশু।

নৌ দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। নিহত পরিবারগুলোর মধ্যে পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়ে একেবারে অসহায় হয়ে পড়া অতি দরিদ্র ৯টি পরিবারের মাঝে ১৫ লাখ টাকা বিতরণ করেছে সংগঠনটি ।

সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম সহায়তার চেক ও নগদ অর্থ হস্তান্তর করেন। এ সময় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড মেম্বার জামাল উদ্দিন, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, নিহত পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে জেলা প্রশাসকসহ অতিথিবৃন্দ ৯টি পরিবারের মাঝে কাউকে ৩ লাখ, কাউকে ২ লাখ ও কাউকে ১ লাখ করে মোট ১৫ লাখ টাকা, ১টি করে খাদ্যসামগ্রীসহ পূজার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের একটি প্যাকেট বিতরণ করেন।

পরে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড মেম্বার জামাল উদ্দিন নৌকাডুবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় নৌকার মাঝিদের কাছে ১৪টি লাইফ জ্যাকেট বিতরণ করেন।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর