জীবন-জীবিকার প্রধান বাহক হিসেবে বাঁশকে আকড়ে ধরে একসময় ভালো ভাবে সংসার চালাতেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জের মরিচা ইউনিয়নের শালবাড়ী ডাবরা গ্রামের মতি মিয়া। কিন্তু দিন দিন বাশেঁর তৈরি বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা ও দাম কমে যাওয়ায় অভাবে পড়ছেন মতি মিয়া। অন্যদিকে বাশেঁর দাম বাড়লেও তাদের আয় কমে দুর্দিন নেমে আসছে। এ অবস্থা এই পেশায় যারা জড়িত সবারই, এমনটাই বললেন মতি মিয়া।
পুর্ব পুরুষদের কাছে পাওয়া বংশপরম্পরাই এ পেশায় গত ৪ বছরে আগেও বেশ সফলতা ছিল। কিন্তু প্লাস্টিকের বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বাজারে আসার কারণে কমে গেছে বাঁশের তৈরি পণ্যের চাহিদা। অন্যদিকে প্লাস্টিক পণ্যের দাম বাঁশের তৈরি পণ্যের চেয়ে অনেক কম।
মতি মিয়া বলেন, আগে ৪০০ টাকার বাঁশ কিনে সেই বাঁশ দিয়ে পণ্য তৈরি করে ১৩০০ টাকায় বিক্রি করা যেত। কিন্তু বাঁশের দাম বাড়ার কারণে এখন ৫০০ টাকার বাঁশ কিনে সেই বাঁশ দিয়ে পণ্য তৈরির পর ১০০০ টাকাতেও বিক্রি করা যায় না। আবারে বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি।
তিনি আরও বলেন, বাঁশের তৈরি চাটাই, খাঁচা, মাছ ধরা পলই , কুলা, পাখা, ডালি, ভাড়, ঝাড়ু, হাসঁ-মুরগি রাখা খাঁচাসহ নানা পণ্য তৈরি করে হাট-বাজারে বিক্রি করে কোন মতো চলে তার। বাঁশের তৈরি পণ্য ছাড়া অন্য কোন কাজ তাদের জানা নেই। তাই পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে এই কাজই করেন। সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা দিলে আমার মত পরিবারগুলো আরও ভালো পণ্য তৈরি করে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এএম