ফেনীর দাগনভূঞায় এক বিধবার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার ছোট মালিপুর গ্রামের আকু সর্দার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এতে নিহতের ২ মেয়ে ও নাতনী মারাত্মকভাবে আহত হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই বাড়িতে জ্বীন-ভুত আছেন এমন সন্দেহে তারা বাড়িতে একজন খোনারকে নিয়ে সোমবার রাতে জ্বীনের হাজিরা দেয়। হাজীরা দেয়ার পর থেকে ঘরে বাহীরের অন্য কোন লোককে প্রবেশ করতে দেয়নি। পরে রাতে ঘোরের মধ্যে সম্ভবত তারা একে অপরকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। ঘটনায় ওই ঘরের বাসিন্দা ফাতেমা আক্তার (৫৫) নিহত হয়। নিহতের মেয়ে রোকসানা আক্তার (৪০), খালেদা আক্তার (২৩) ও নাতনী ফাহমদিা সুলতানা (১৭) গুরুতর আহত হয়। আহতের মেয়েরা সকালে দা-ছুরি নিয়ে বাড়ির বাহিরে যাকে পায় তাকেই আক্রমন করে বলে জানা যায়। মেয়েদের শরীরেরও আঘাতের চিহ্ন ছিলো। সকালে খবর পেয়ে দাগনভূঞা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং আহতদের দাগনভ‚ঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। নিহত ফাতেমা ওই এলাকার মৃত ফজলুল হকের স্ত্রী।
দাগনভূঞা থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক যশমন্ত মজুমদার জানান, মাথায় আঘাতজনিতকারনে ফাতেমার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাসান ইমাম ঘটানর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কোন মামলা হয়নি। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বুঝা যাবে ঘটনাটা আসলে কী? মামলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে আহতদের দেখে মনে হয়েছে যা ঘটেছে তারা কোন না কোন কারণে ঘোরের মধ্যেই করেছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ