ঢাকার ধামরাইয়ে দীর্ঘ ২৪ বছর পর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে তা বাতিলের দাবিতে শনিবার দুপুরে মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। এসময় মহাসড়কের তীব্র যানঝটের সৃষ্টি হয়।
বিক্ষোভকারী ছাত্রলীগ নেতারা জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি অবৈধ ভাবে টাকার বিনিময়ে করা হয়েছে। তাই আমরা এ কমিটি দ্রুত বাতিল চাই।
এদিকে শুক্রবার ঢাকা জেলা (উত্তর) ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ধামরাই উপজেলা ছাত্রলীগের জামিল হোসেনকে সভাপতি আর মাহবুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষনা করা হয়। এ কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে সুমন হোসেন, শাকিল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম, আজিজুল খান, মিনহাজ উদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আব্দুল্লাহ আশ শাবীব, হাবিবুর রহমান আকাশের নাম রয়েছে।
কমিটি গঠনের কথা প্রকাশ হলেই উপজেলা ছাত্রলীগের দু-গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে সুব্রত পালকে সভাপতি ও আনোয়ার জাহিদকে সাধারণ সম্পাদক করে ধামরাই উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ২০০০ সালে এ কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও তারা ২০০১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে তারা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে দায়িত্ব পালন থেকে অব্যাহতি নেন। এরপর গত ২০১২ ও ২০১৯ সালে দুই দফায় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হলেও তারাও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে না পাড়ায় তা বিলুপ্ত ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ।
ধামরাই উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি জামিল হোসেন জানান, টাকা বিনিময়ে কমিটি হয়নি। হয়েছে যোগ্যতার বলে। এখন ছাত্রলীগকে চাঙ্গা করে তুলব বলে জানান তিনি।
কমিটি অবৈধ টাকার বিনিময়ে হয়েছে এমনটা দাবি করে ধামরাই বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, ১০ টাকার বিনিময়ে ঢাকা জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অবৈধ কমিটি গঠন করেছে। যা আমরা দ্রুত বাতিল চাই। তা না হলে আমরা উপজেলা ছাত্রলীগ কঠিন কর্মসূচিতে যাব।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল