ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের দক্ষিণ কালামৃধা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে ফারুক মাতুব্বর ও মান্নান মাতুব্বরের জায়গা-জমি পরিমাপের সময় সালিশ বৈঠক অমীমাংসিতভাবে শেষ করা হয়। সালিশের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয় আগামী ১২ নভেম্বর।
এরপর দু’পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে মারা যায় নবীন মাতুব্বর (১৫)। নিহত ঐ কিশোর দক্ষিণ কালামৃধা গ্রামের ফারুক মাতুব্বরের ছেলে। এদিকে নবীন মৃত্যুর খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত গ্রামবাসী বেশ কযকেটি ঘরবাড়ি ভাংচুর করে। সন্ধ্যা ৭টার সময় খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনার স্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী ও ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়ারুল ইসলাম জানায়, শনিবার দুপুরে বাবলু মাতুব্বর ও মান্নান মাতুব্বরের সাথে জায়গা জমি সংক্রান্ত একটি সালিশ বৈঠক ছিল । সালিশ বৈঠকের শেষে কথা-কাটাকাটির পরে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
এ সময় প্রতিপক্ষ মান্নান মাতুব্বরের সমর্থকরা বাবলু মাতুব্বরের চাচাতো ভাই ফারুক মাতুব্বরের ছেলে কিশোর নবীন মাতুব্বরকে চাকু দিয়ে আঘাত করে। তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে নেওয়া হলে সন্ধ্যার পরে সে মারা যায়। লাশ এলাকায় আসার আগেই সেই গ্রামে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। নিহতের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও তিনি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক