জামিনে মুক্তি পেলেন বগুড়ার আলোচিত আব্দুল মান্নান আকন্দ। রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি বগুড়া কারাগার থেকে বের হন। এর আগে তিনি গত ৩০ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর চাঁদাবাজি ও লুটপাটের মামলায় উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিচারপতি রেজাউল হক ও কে এম ইমরুল কায়সার যৌথ বেঞ্চে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জুডিশিয়াল পেশকার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, হাইকোর্ট আব্দুল মান্নান আকন্দকে এক বছরের জামিন দিয়েছেন। রবিবার উচ্চ আদালত থেকে তার জামিনের কাগজপত্র বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসে। দুপুর ২টার সময় জামিনের কাগজপত্র ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর আড়াইটার সময় তিনি কারাগার থেকে বের হন।
জানা যায়, বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে হলফনামা অনুযায়ী তার নামে ৬টি মামলা ছিল। মনোনয়ন দাখিলের পর আব্দুল মান্নানের নামে চাঁদাবাজি এবং লুটপাটের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় আদালতে জামিন নিতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। জেল হাজাতে থাকা অবস্থায় গত ২২ সেপ্টেম্বর আব্দুল মান্নানের নামে আরো একটি চাঁদাবাজি ও অর্থ আত্মসাতের মামলা করা হয়।
উল্লেখ্য, চাঁদাবাজি মামলায় সম্প্রতি বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মান্নান আকন্দকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয় আদালত। বগুড়া অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ শাহরিয়ার তারিক গত ২১ অক্টোবর এ আদেশ দেন।
এদিন সদর আমলী আদালতে মামলার এজলাস ছিল। এ সময় উভয়পক্ষের শুনানি হয়। শুনানিতে আব্দুল মান্নান আকন্দ জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। গ্রেফতারের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর হত্যাচেষ্টা, চুরি ও মারপিটের অভিযোগে মামলা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসেন আলী সরকার রেলওয়ে (কর্মচারী) কল্যাণ ট্রাস্ট সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী হায়দার আলী। মামলায় আব্দুল মান্নান আকন্দকে প্রধান করে ৫১ জনকে আসামি করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই