কুমিল্লার দেবিদ্বারে হাঁস মারার প্রতিবাদ করায় চাচাকে পিটিয়ে দুই দাঁত ভেঙে দিয়েছে ভাতিজা। হামলার শিকার ফুল মিয়া দেবিদ্বার উপজেলার উত্তর রাঘবপুর গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় তার স্ত্রী সুরাইয়া বেগমও আহত হন। রবিবার এবিষয়ে তিনি সংবাদকর্মীদের নিকট অভিযোগ করেন।
আহত ফুল মিয়া বলেন, আমার পাঁচটি রাজহাঁস আছে। গত ১০ অক্টোবর আমার পাঁচটি রাজহাঁস বাড়ির পাশে একটি জমিতে ঘাস খাচ্ছিলো। এ ঘটনায় আমার জেঠাতো ভাই সাম মিয়ার ছেলে ভাতিজা শাহজাহান লাঠি দিয়ে পিটিয়ে একটি রাজহাঁস মেরে ফেলে। এ ঘটনার তিনদিন পর এলাকাবাসী বিষয়টি সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংশা করে দেন। বৈঠকের ৪ দিন পর তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে আমার ছেলের বউ ফাতেমাকে পেটায় ভাতিজা শাহজাহান ও তার ছেলে আরিফ। এ সময় আমি আমার ছেলের বউকে রক্ষা করতে গেলে ভাতিজা শাহজাহান, তার ছেলে ও ভাই বোনেরা মিলে আমাকে মারধর করে। আমার হাত পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে দুটি দাঁত ভেঙ্গে দেয়। আমার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাত আঘাত করে। এ ঘটনার পর ৮বার হামলা চালায়। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
অভিযোগের বিষয়ে শাহজাহান বলেন, আসলে তারা যা বলেছে তার পুরোটা সত্য নয়। তারা আমার একটা হাঁস ধরে রাখে। এ নিয়ে আমার স্ত্রীর সাথে ফুল মিয়া চাচার ছেলের বাকবিতন্ডা হয়। তারা আমার স্ত্রীকে চড় মারে। আমি জিজ্ঞেস করতে গেলে তারা আমার ভাইকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়। তাই আমি চাচাকে বেঁধে পেটাই।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, বিষয়টি যাচাই করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম