সুন্দরবনের প্রাক্রিতিক পরিবেশে কেমনভাবে টিকে থাকতে পারে তা জানাতে ম্যানগ্রোভ এই বনের ৩টি পুকুরে পাইলট প্রকল্পের আওতায় ৪০টি বিলুপ্ত প্রজাতির বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ অবমুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার বিকালে বাগেরহাটের পূর্বসুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শামসুল আরেফিন কোকিলমুনি বন অফিস সংলগ্ন পুকুরে ২০টি, পাটকোস্টা পুকুরে ১০টি ও দোবেকী পুকুরে ১০টি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ অবমুক্ত করেন। তখন অষ্টিয়ার ভিয়েনা জু কর্মকর্তা রূপারী, আব্দুর রব, সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির উপস্থিত ছিলেন।
সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, বিশ্বের বিলুপ্ত প্রজাতির বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ টিকিয়ে রাখতে ২০১৪ সালে সুন্দরবনের করমজলে বন বিভাগের সাথে কাজ শুরু করে অষ্টিয়ার ভিয়েনা জু, টিএসএ, প্রকৃকি ও জীবন ফাইন্ডেশন। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম নেওয়া ৫ ও ৪ বছর বয়সী ৪০টি বিলুপ্ত প্রজাতির বাটগুর বাসকা কচ্ছপ সুন্দরবনের প্রাকৃাতক পরিবেশে কেমনভাবে টিকে থাকতে পারে বা কতোটা বৃদ্ধি পায় তা জানকে পাইলট প্রকল্পের আওতায় ম্যানগ্রেভ এই বনের ৩টি পুকুরে অবমুক্ত করা হয়েছে।
করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের এই কর্মকর্তা আরও জানান, বাটাগুর বাসকা কচ্ছপের প্রকৃত আবাস্থল ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমানে এখন বিলুপ্তির পথে রয়েছে এই প্রজাতির কচ্ছপটি।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ