টাঙ্গাইলে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) এ উপলক্ষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, টেকনিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মসূচি পালন করে। এছাড়া মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনও গ্রহণ করে পৃথক কর্মসূচি।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অবস্থিত ভাসানীর মাজার প্রাঙ্গণে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মোনাজাত ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে যথাযথ মর্যাদায় দিনটি পালন করে ভাসানী অনুসারীরা। দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ নেতার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সকাল সাড়ে ৭টার সময় সন্তোষে মওলানা ভাসানীর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পন এবং মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডক্টর মো. ফরহাদ হোসেন ।
এরপর মওলানা ভাসানীর পরিবার, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-শিক্ষার্থী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও মাওলানা ভাসানীর ভক্ত অনুসারীরা মাজারে পুস্পস্তবক অর্পন এবং মোনাজাত করেন।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, মিলাদ, দোয়া মাহফিল, ওরশ, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণসহ আরো বিভিন্ন আয়োজন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯৬ বছর বয়সে দেশ বরেণ্য এই নেতা মৃত্যুবরণ করেন। তাকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে দাফন করা হয়। তিনি ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হাজী শরাফত আলী খান। তিনি আমৃত্যু কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন। মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও নানা কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ