স্কুল থেকে বাসায় ফিরে বাবার সাথে বেড়াতে যাবে বলে সাজগোজ করে বসে ছিলো শিশু সংগীতা (১০)। তবে বাবার সাথে বেড়াতে যেতে না পেরে অভিমান করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার দুপুর ২টার দিকে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের পূর্বমাথায় এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। সংগীতা রায়েন্দা ভাষাণী কিন্ডার গার্টেনের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ও রায়েন্দা বাজারের স্বপন রিশির মেয়ে।
সংগীতার মা ভাষাণী কিন্ডার গার্টেনের আয়া নমীতা রানী বলেন, সংগীতা স্কুল থেকে বাসায় এসে তার বাবার সাথে বেড়াতে যাবে বলে সাজগোজ করে বসেছিল। কিন্তু ওর বাবা তাকে না নিয়ে রাজাপুরে একটা বিবাহ সংক্রান্ত কাজে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর তাকে আমরা গলায় দড়ি দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলতে দেখি।প্রতিবেশীরা জানান, স্বপন রিশির এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সংগীতা খুব আদরের ছিল। এদিন স্কুল থেকে বাসায় এসে সবার সাথে কথা বলে। তখন বাবার সাথে বেড়াতে যাবে বলে সাজগোজ করে বসেছিল। কিছুক্ষণ পর শুনি তার মা কান্নাকাটি করে। সাথে সাথে গিয়ে দেখি গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে আছে। ওইসময় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আশফাক হোসেন জানান, শিশুটিকে হাসপাতালে আনার পর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কোনো পালস পাওয়া যায়নি। পরে ইসিজি করে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম হোসেন বলেন, সংগীতা নামে ১০ বছরের একটি শিশু গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার সকালে শিশুটির মরদেহ বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ বলা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই