৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৩:৩৫

সিংড়ায় সংঘর্ষে ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০, আটক ৯

নাটোর প্রতিনিধি

সিংড়ায় সংঘর্ষে ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০, আটক ৯

পূর্ব বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নাটোরের সিংড়ায় দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (০৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮ আটটার সময় উপজেলার ২নং ডাহিয়া ইউনিযনের বেড়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। 

তবে এখনো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। আহতদের সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। 

আহতরা হলেন, ওই গ্রামের মৃত ওসমান আলীর ছেলে আঃ মান্নান হাজী (৫৫), সেহাব উদ্দিনের ছেলে আমিনুল ইসলাম তালুকদার (৭০), আক্কাস আলীর ছেলে শামীম হোসেন (৩০) ও সবুজ হোসেন (৩৫), রফিকুল ইসলাম খন্দকারের ছেলে মো: নয়ন হোসেন (২৫), রহিদুল ইসলামের ছেলে আ. রউফ (৩০), বিপ্লবের ছেলে দিপন (৩২), অফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. শুভ (২৪), মো. আমানত হোসেমের ছেলে মো. সাইদুল ইসলাম (৩০), আ. জলিলের ছেলে মো. মুনসুর (৪৫), মোঃ সাগের উদ্দিনের ছেলে মো. বাবু (৪৫), বাপ্পি তালুকদারের স্ত্রী শিরিনা বেগম (৩৫), মো. সোহাগের স্ত্রী লাকি বেগম (৩০), মেছের আলী তালুকদারের ছেলে মোজাম্মেল হক (৫০) এবং অপর পক্ষের মো. জয়নাল (৫০), সেন্টু মোল্লা (২৮), সুভ মোল্লা (২৭) ও হেলাল (২৮)। 

জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার ও ২০১৬ সালের একটি হত্যাকাণ্ড নিয়ে বেড়াবাড়ি গ্রামের রেজা-সাইফুল-মানিক মেম্বার ও আনোয়ার হোসেন-দিপক-বাবু গ্রুপের মধ্যে পূর্ববিরোধ চলে আসছিল। আজ সকালে পূর্ব বিরোধ সহ ওই গ্রামের একটি পুকুরের ডহর ব্যবহারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একই সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে গুরুতর অবস্থায় ১৫ জনকে বগুড়া ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। 

সিংড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, লোকমুখে গোলাগুলির খবর শুনেছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলির আলামতও পাওয়া গেছে। তবে সেটি ছিল লাইসেন্সধারী বন্দুকের। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। উভয়পক্ষের ৯ জনকে আটক করে থানায় এনেছি। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার মইনুল হক রিকো জানান, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহতদের অধিকাংশই গুলিবিদ্ধ। তাই তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হযয়েছে। অন্যদের সিংড়া হাসপাতালেই চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর