দিনাজপুরের খানসামায় মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে বধ্যভূমির বড়ই গাছের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছে শহীদ পরিবার, খানসামা ডিগ্রি কলেজ ও স্থানীয়রা।
এর আগে গত ৮ বছর ধরে সেখানে অস্থায়ী বাঁশের বেড়ার স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানালেও তা নদীতে বিলীন হওয়ায় এ বছর সেখানে অবস্থিত বড়ই গাছে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় খানসামা ডিগ্রি কলেজের আয়োজনে পুলহাট ইছামতী নদীর তীরে অসংরক্ষিত বধ্যভূমিতে জাতীয় বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে এ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় খানসামা উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক, সংগ্রাম কমিটির সদস্য ও মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সদস্য বাবু অমিয় কুমার গুহ, আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া টেডি ডাক্তার ও মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী খুট্টু মিয়াকে পুলহাটে ইছামতি নদীর ধারে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয় পাকবাহিনী। পরে স্থানীয় তরনী কান্ত, নজরুল ইসলামসহ অনেকে তাদের লাশ নদী থেকে তুলে সেখানে কবর দেন।
শহীদদের কবর দেওয়া নজরুল ইসলাম শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অমানবিক ভাবে নির্যাতন করে অমিয় বাবু, টেডি ডাক্তার, খুট্টু মিয়াসহ কয়েকজনকে এখানে হত্যা করা হয়। সেই স্মৃতি আজও চোখে ভাসে। কিন্তু এই স্মৃতিময় স্থান সংরক্ষণে কোনও উদ্যোগ নেই। যা আমাদের জন্য কষ্টদায়ক।
অমিয় কুমার গুহের দৌহিত্র্য উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রাকেশ গুহ জানান, গণকবর সংরক্ষণ ও শহীদ পরিবার হিসেবে আমাদের তালিকা অন্তর্ভুক্ত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর অনুরোধ রইলো।
এসময় স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খানসামা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাইফুল ইসলাম, খানসামা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো. রশিদুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এরশাদ জামানসহ কলেজের শিক্ষক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ