রাঙামাটির সাজেকে নেমেছে পর্যটকের ঢল। টানা তিন দিনের ছুটির অবকাশে কাটাতে সাজেকে পাড়ি জমিয়েছেন হাজার হাজার পর্যটক। আগে থেকে হোটেল বুকিং না দেওয়ায় অনেকেই বাধ্য হয়ে রাত্রি যাপন করেছেন গাড়িতেই। আবার কেউ কেউ তীব্র শীত উপেক্ষা করে তাবু টানিয়েছে মাথাগোজার ঠাঁই করেছেন খোলা মাঠে। তবুও আনন্দ উচ্ছ্বাসের শেষ ছিল না পর্যটকদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮শ’ ফুট উচ্চতার মেঘেছোঁয়া সাজেক পাহাড় মুখর হয়ে উঠেছে অগণিত পর্যটকের পদচারণায়। কংলাক পাহাড়, ঐতিহ্যবাহী লুসাই ভিলেজ আর পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে লুকানো শুভ্র-সাদা মেঘের মিতালি প্রতিনিয়তই কাছে টানছে পর্যটকদের। তাই তো সাজেকের পর্যটন কেন্দ্রগুলো ছিল লোকে লোকারণ্যে ভরপুর। প্রকৃতির টানে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছে দেশি-বিদেশি হাজার হাজার পর্যটক। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে আগত পর্যটকরা সাজেক পাহাড়ের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ মেঘ মিতালিতে মেতেছে। আবার কেউ প্রকৃতিকে উজাড় করে দিচ্ছে নিজেকে।
সাজেক বাঘাইহাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও মেঘালয় রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী মো. জুয়েল বলেন, টানা তিন দিনের সরকারি ছুটি পড়ায় শতাধিক রিসোর্ট ও কটেজ সম্পূর্ণ বুকিং আছে। এখন আর নতুন করে কাউকে রুম দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি আর বড়দিনে বিশেষ ছুটির কারণে সাজেকে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় জমেছে।সাজেকের রিসোর্ট ও কটেজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জুমঘর কটেজের মালিক জেরী লুসাই বলেন, বর্তমানে সাজেকের রিসোর্ট ও কটেজগুলোর ধারণক্ষমতার চেয়ে ৫ গুণ অধিক পর্যটক অবস্থান করছেন। আমরা তাদের রুম দিতে পারছি না। তাই অনেক পর্যটক ফিরে গেছেন।
সাজেকে বেড়াতে আসা পর্যটক মো. তাহামিদ আহমেদ জানান, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালি এখন বাংলাদেশের বৃহত্তর পর্যটন স্পট। এখানে প্রায় সময় দৈনিক কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, সাজেকে কোনো ব্যাংকের শাখা নেই। ফলে পর্যটকদের নগদ টাকা নিয়ে আসতে হয়। এছাড়া দেশের অন্যসব পর্যটন স্পটের চেয়ে সাজেকে গাড়ি ভাড়া, রিসোর্ট বুকিং, খাবার খরচ অনেক বেশি। টাকার কথা চিন্তা করে খুব সীমিতভাবে চলতে হয় সবাইকে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত