দেশের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। উত্তরের হিমবায়ুর প্রভাবে এ জেলায় বাড়ছে শীতজনিত রোগ। নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের আয় রোজগার কমেছে। ঠান্ডা ঠেকাতে কয়েকটি কাপড় গায়ে দিতে হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এসময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
গত কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড শীতে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বেড়েছে হাড় কাঁপুনি ঠান্ডা। দিনের বেলা দুপুর পর্যন্ত কুয়াশায় আবৃত্ত থাকছে সবকিছু। হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। দুপুরের পর রোদের দেখা মিললেও শীতের প্রভাবে উত্তাপ ছড়াতে পারছে না সূর্য। হিমালয় পাহাড় থেকে বয়ে আসা হিমবায়ু প্রভাহিত হচ্ছে দিনভর। এই বাতাশে শীতের প্রকোপ আরও বেড়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন দুতিন টি কাপড় পড়ে ঠান্ডাকে ঠেকাতে হচ্ছে। অনেকেই খরখুঁটো জ্বালিয়ে আগুনের উত্তাপ নিচ্ছেন। সময় মাতো কাজে যেতে পারছেনা মানুষ। ফলে আয় রোজগার কমে যাচ্ছে। এদিকে প্রচন্ড কুয়াশার কারণে চা বাগানের চায়ের গাছ কুকড়ে যাচ্ছে। ফলে বাগানীদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
এদিকে হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর ভিড়। শিশু ও বয়স্ক মানুষেরা শীত জনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে বেড সংকটের কারণে বারান্দায় বা মেঝেতেই বিছানা পেতে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে রোগীদের। ফলে রোগী আরও বেশী আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন।
হাসপাতাল কতৃপক্ষ বলছেন, অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা সেবার জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. মো. রফিকুল হাসান জানান চিকিৎসা নেয়ার পাশাাশি নাগরিকদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
শীতার্ত নিন্ম আয়ের মানুষের মাঝে জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা কম্বল বিতরণ করছেন। বেসরকারি ভাবেও কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। তবে তা এখনো অপ্রতুল।
জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম জানান, এ পর্যন্ত ২৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ অব্যাহত থাকবে। তিনি শীতার্ত মানুষের পাশে দাড়াতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম