হাড় কাপানো শীত অনুভূত হচ্ছে বরিশালে। গত ৪ দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ১১ ডিগ্রি থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। উত্তরের হিমেল হাওয়া, মেঘলা আবহাওয়া এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কম থাকায় বরিশালে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
আগামী ১০ থেকে ১২ জানুয়ারি এবং ২০ থেকে ২২ জানুয়ারির মধ্যে দুই দফা শৈত্য প্রবাহ আসতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন তারা। এদিকে কনকনে শীতে বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে বরিশালের জনজীবন। বিশেষ করে ছিন্নমূলসহ নিন্ম আয়ের মানুষ পড়েছে বেকায়দায়।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক প্রনব কুমার রায় জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১২.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এর আগে বুধবার ১৩.১ ডিগ্রী, মঙ্গলবার ১১.৫৬ ডিগ্রী এবং গত সোমবার বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১২.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো গত ২৪ ডিসেম্বর ১০.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ৩০ ডিসেম্বর ছিলো ১০.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তাদের মতে, এ মাসে দুই দফা শৈত্য প্রবাহ হতে পারে। আগামী ১০ থেকে ১২ জানুয়ারী একটি এবং ২০ থেকে ২২ জানুয়ারীর মধ্যে আরেক দফা শৈত্য প্রবাহ হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রীতে নামলেও শীত অনুভূত হচ্ছে বেশী। এর কারন হিসেবে তিনি বলেন, উত্তরের হিমেল হাওয়া, মেঘলা আবহাওয়া এবং দিনের বেলা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কম থাকায় শীত অনুভ‚ত হচ্ছে বেশী। আগামী কয়েকদিনে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দেন তিনি।
এদিকে বরিশালে গত দুইদিন ধরে ঘনকুয়াশা দেখা না গেলেও চলতি মৌসুমে গত ৩০ ডিসেম্বর কুয়াশার দৃস্টিসীমা ছিলো শূন্য। উত্তরের হিমেল হাওয়া কেটে গেলে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে পারে বলে ধারনা তাদের।
অপরদিকে তীব্র শীত জেঁকে বসায় বরিশালের জনজীবন অনেকটা বিপর্যন্ত হয়ে গেছে। দিনের বেলা বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষ রাস্তায় বের হলেও সন্ধ্যার পর মানুষজনের চলাচল কম। অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। স্বচ্ছল মানুষ শীত কাপড় দিয়ে শীত নিবারনের চেস্টা করলেও বিপাকে পড়েছেন ভাসমান, ছিন্নমূল সহ নিন্মআয়ের মানুষ। দিনের বেলা যেমন তেমন হলেও খরকুটা জ্বালিয়ে রাত পাড় করার চেষ্টা করছেন তারা।
শীতে বিপর্যস্ত নিন্ম আয়ের মানুষের পাশে এখনও পর্যন্ত শীতবস্ত্র নিয়ে এগিয়ে আসেনি কেউ।
বিডি প্রতিদিন/এএম