পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুরে স্কুল নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে মাহাতাব উদ্দিন হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এ মামলা থেকে নয়জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৩ জানুয়ারী) বিকেলে পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন চরতারাপুরের দিঘী গোহাইল বাড়ি এলাকার মন্টু প্রামাণিক (৪১), সাহেব মোল্লা (৫৫)ও নওজেস প্রামাণিক (৬২)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দিঘী গোহাইল বাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিহত মাহাতাব গংদের সাথে দণ্ডপ্রাপ্তদের বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে ২০০৮ সালের ১৬ মার্চ সকাল ১১ টার দিকে তৎকালীন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিরোধ মিমাংসার জন্য স্কুলে গেলে মিমাংসার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আহত মাহাতাব উদ্দিনকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা আবু বক্কর সিদ্দিকী বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে সোমবার আদালত তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও নয়জনকে মামলা থেকে খালাস দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর দেওয়ান মজনুল হক এবং আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন সনৎ কুমার সরকার। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক বলেন, এটা একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল। সাক্ষ্য ও তদন্তে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রামাণিত হয়েছে। আদালত তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট। এর মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিয়মান হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী সনৎ কুমার সরকার বলেন, আমার মক্কেলরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল