সুনামগঞ্জের ছাতকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে গুরুতর জখমের ঘটনায় ১০ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ছাতক থানায় আহতের বোন শায়েলা বেগমের দায়ের করা এজাহার দ্রুত বিচার আইনে মামলা রেকর্ড করে থানা পুলিশ।
মামলার আসামিরা হলেন ছাতক পৌরসভার বাগবাড়ি গ্রামের আব্দুল কাহার রঞ্জুর ছেলে সাদমান মাহমুদ সানি (৩০), আদনান মাহমুদ রনি (৩২), ইকবাল মাহমুদ জনি (৩৪), মৃত ইদ্রিছ আলীর ছেলে গিয়াস (৩০), মৃত ইব্রাহীম আলীর ছেলে রহিম আলী (২৮), নোয়ারাই গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে তারেক (২৮), মণ্ডলীভোগ গ্রামের নিরঞ্জন তালুকদারের ছেলে হৃদয় তালুকদার (২৬), ফরিটিলা গ্রামের রাসেল (২৮), ইসলামপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে কাউসার (২৮), কৌশিক দাসের ছেলে নয়ন দাস অপুসহ (২২) অজ্ঞাত ৪/৫ জন।
আসামিরা স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতিতে যুক্ত। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ এসল্ট, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বিকাল ৫টায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা ধন মিয়াকে ছাতক বাস স্টেশন এলাকায় সিএনজি থেকে নামিয়ে কুপিয়ে জখম করেন যুবলীগ নেতা সানি ও তার সহযোগীরা। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় থাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
এদিকে, সাবেক পৌর কাউন্সিলরকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ছাতক পৌর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে। দ্রুত বিচার আইনে মামলা গ্রহণ ও আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দেন এলাকাবাসী।
সোমবার বিকালে এই ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মানববন্ধনের ডাক দিলে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত বিচার আইনে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান। এ সময় কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন আয়োজকরা।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ মাঈনুল জাকির বলেন, পুলিশ এই ঘটনায় নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। জড়িতরা যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি পায় সেই চেষ্টা করবে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল