নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হামলা ও জবরদখলের ঘটনায় ডিবি পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তার নিকট মামলার স্বাক্ষ্য দেওয়ায় বাদী ও সাক্ষীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় বাদী তাসলিমা বেগম (২৭), মমতাজ বেগম (৫০) ও রোকসানা (৪০) আহত হয়েছেন। ইটের আঘাতে আহত তাসলিমাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার বিকালে বাদীর বসত বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে। এর আগে গত ২ জানুয়ারি তাসলিমার বসতঘরে হামলা, জবর দখলের চেষ্টা ও তাকে ব্যাপক মারধর করে মাইন উদ্দিন মানুর নেতৃত্বে শরিয়তউল্লাহসহ কয়েকজন। এই ঘটনায় থানায় ও আদালতে মামলা হয়।
হাসপাতালে আহত বাদী তাসলিমা আক্তার ও তার স্বামী মাসুম আলম জানান, বসতভিটার জায়গা জবরদখল করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে একইবাড়ির শরিয়তউল্লাহ ও মাইন উদ্দিন মানু হামলা, ভাঙচুর ও জবর দখলের চেষ্টা করে। তাদের এই ঘটনার জেরে থানায় ও আদালতে মামলা করলে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আদালতে দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ ওই ঘটনায় সরেজমিনে তদন্ত করতে গেলে সোমবার বিকালে সাক্ষী ও বাদী তদন্তকর্মকর্তার নিকট বক্তব্য দেয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া ও মামলা করার জেরে পুলিশ চলে যাওয়ার পর ফের হামলা চালায় মাইন উদ্দিন মানুর নেতৃত্বে কয়েকজন। এ ঘটনা ডিবির ওসি ও বেগমগঞ্জ থানায় অবহিত করা হয়। বর্তমানে বাদীর পরিবার সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
জেলার ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন বলেন, এই ঘটনা আমরা জেনেছি এবং এ বিষয়ে আরেকটি মামলা হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল