জমি নিয়ে বিরোধে জোড়া খুনের পরে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট শহরের খোদাদপুর গ্রামের চুনিয়াপাড়া এলাকায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগ এনে শুক্রবার অজ্ঞাত ১২শ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এখনও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং শান্তি বজায় রাখতে বৈঠক হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। অগ্নিসংযোগে ১৬ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে পুলিশের পক্ষ থেকে ৩০০ শীতবস্ত্র ক্ষতিগ্রস্থসহ আশেপাশের অসহায়-দুস্থদের মাঝে বিতরন করা হয়েছে বলে ঘোড়াঘাট থানার ওসি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ছোট-বড় মিলে ৩৮টি ঘর-বাড়ি-খড়ের পালায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে বলে জানায় ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিস। এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে সেখানে।
হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে চরাঞ্চল থেকে আসা ঘর-বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শুক্রবার ওই ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ। এসময় ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ি পরিদর্শন ও পরিবারগুলোর সাথে কথা বলেন এবং মসজিদে স্থানীয় মুসল্লিদের সাথে মতবিনিময় করেন পুলিশ সুপার।
ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ নিরঞ্জন সরকার বলেন, কারো বাড়িতে, কারও খড়ের পালায়, আবার কারো রান্নাঘরে এভাবে শুক্রবার ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনে কাজ করে দেখা গেছে ছোট-বড় মিলে ৩৮টি ঘর-বাড়িতে বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে আনুমানিক ৩২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ঘোড়াঘাট থানার ওসি আবু হাসান কবির বলেন, বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ঘোড়াঘাট ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সদস্য সুশীল চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১২০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আসামিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। শনিবার সকালে খোদাদাতপুর গ্রামে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গ্রামের দুই পক্ষের লোকজন নিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জোড়া খুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত চারজন গ্রেফতার হয়েছে এবং একজন পলাতক রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল