নরসিংদীর পলাশে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাড়িতে ঢুকে এক গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ওই সময় গৃহবধূর কোল থেকে দেড় বছর বয়সী শিশু সন্তানকে ছিনিয়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলার অভিযোগও করেন তিনি। এ সময় বাড়িটির বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করে নেওয়া হয়। ঘটনার পরপরই দুজনকে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আজ সোমবার ভোরে পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের কাউয়াদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর নাম যমুনা রানী পাল (২৫)। তিনি উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের কাউয়াদী গ্রামের সবুজ চন্দ্র দের স্ত্রী। তার দেড় বছর বয়সী শিশুটির নাম বিকি চন্দ্র দে।
গৃহবধূর শ্বশুর সতীশ চন্দ্র দে জানান, পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত জমিজমা নিয়ে সতীশ চন্দ্র দে’র বোন শিউলী রানীর সঙ্গে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। আজ ভোরের দিকে যমুনা তার দেড় বছর বয়সী শিশুকে নিয়ে বাড়িটিতে একা ছিলেন। এ সুযোগে ৮-১০ জনকে নিয়ে বাড়িটিতে আসেন শিউলী। এ সময় তারা বাড়িঘরে ভাঙচুর করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। তাদের বাধা দিতে গেলে যমুনাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এ সময় তার কোল থেকে শিশুসন্তান বিকিকে ছিনিয়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। এই দৃশ্য দেখে অচেতন হয়ে পড়েন যমুনা। পরে খবর পেয়ে সবুজ চন্দ্র দে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযুক্ত শিউলী রানীর পরিবারের বসবাস বাড়িটির একই সীমানায়। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। তাকে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, বিষয়টি শোনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগও পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল