ভালোবাসা দিবসে শুধু তরুণ-তরুণীর যুগল প্রেম নয়। এর বাইরেও যে ভিন্ন কিছু হতে পারে, তা দেখিয়ে দিল টাঙ্গাইলের হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারি স্কুলের খুদে শিক্ষার্থীরা। বিশেষ এ দিনে মায়ের পা ধুয়ে শ্রদ্ধা জানাল প্রায় দেড় শতাধিক শিশু। প্রতিবারের ন্যায় এবারও জেলা শহরের এসপি পার্কে এমন ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। ভালোবাসা দিবসের দিনটি সাজানো হয়েছে শিশুদের নিয়ে। যেখানে শিশুরা মায়ের পা ধুয়ে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার শহরের এসপি পার্কে হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারী স্কুল ৫ম বারের মতো ভিন্ন আঙ্গিকে আয়োজন করে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। সকাল থেকে মা-বাবার হাত ধরে শিক্ষার্থীরা পার্কে উপস্থিত হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয় অনুষ্ঠানস্থল। পার্কে সারিবদ্ধ হয়ে বসেন মায়েরা। তাদের সন্তানেরা মগে পানি নিয়ে একসাথে দেড় শতাধিক মায়ের পা ধুয়ে দিয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করেন এবং ভালোবাসার স্লোগানসংবলিত মায়ের গলায় মেডেল পড়িয়ে দেয় শিশুরা। এমন ভালোবাসা পেয়ে শিশুদের জড়িয়ে ধরে আবেগে আল্পুত হন মায়েরা। ভালোবাসা দিবসের এরকম অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শিশুরা আনন্দে মেতে উঠে।
অভিভাবকরা বলেন, সন্তানের কাছ থেকে এমন ভালোবাসা পাবো কখনো কল্পনা করিনি। শিশুদের ছোট থেকে যা শেখানো হবে, বড় হয়ে তারা তা অনুসরণ করবে। স্কুলের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। এরকম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ছোট থেকে মা-বাবার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে উদ্বুদ্ধ হবে।
হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারী স্কুলের চেয়ারম্যান নওশাদ রানা সানভী বলেন, আমরা মনে করি ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসা পাওয়ার প্রথম ভাগীদার মা-বাবা। যদিও তাদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের কোনো বিশেষ দিন প্রয়োজন হয় না। বিশেষ এই দিনে শিশুদের মনে বাবা-মায়ের প্রতি অটুট ভালোবাসা এনে দিতেই এই আয়োজন করে থাকি। আমরা প্রতিটি শিশুকে শিখিয়ে থাকি বড় হয়ে ভালো মানুষ হতে হবে এবং নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। সামনেও এ ধরনের আয়োজন করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন, এটি একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন। শিশুরা তাদের মায়ের পা ধুয়ে সম্মান দেখিয়ে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। এমন অনুষ্ঠান আমি প্রথম দেখলাম। এই সমস্ত ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানকে আমি সাধুবাদ জানাই।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল