গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ১০০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কমলেশ বাগচীর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কর্মরত চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) গোপালগঞ্জ শাখার আয়োজনে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। একই সাথে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মবিরতি ও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দিয়েছে বিএমএ, গোপালগঞ্জ জেলা শাখা।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে ১০ থেকে ১৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে টুঙ্গিপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন হামলার শিকার ডা. কমলেশ বাগচী। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।
মানববন্ধনে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন, অর্থোপেডিক ডা. এ এফ এম জুলফিকার রহমান, চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. তানভীর হোসেন, ডা. তরিকুল ইসলাম, ডা. মনির হোসাইন, ডা. আলিফ শাহারিয়াসহ ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের সংগঠন ফারিয়ার সদস্যরা ও হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৭টায় উপজেলার গিমাডাঙ্গা গ্রামের জায়েদ মুন্সী প্রচণ্ড জ্বর, শ্বাসকষ্ট, শারীরিক দুর্বলতা ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। কিন্তু রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কমলেশ বাগচী তাকে গোপালগঞ্জ সদর অথবা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন।
কিন্তু পরিবারের লোকজন গড়িমসি করে সময় নষ্ট করে উন্নত চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ অথবা খুলনা নেয়নি। এমনকি রোগীর স্বজনরা চিকিৎসকের দেয়া প্রয়োজনীয় টেস্টগুলোও করেনি। পরে দুপুরে রোগীর অবস্থা আরো আশঙ্কাজনক হলে কর্তব্যরত নার্স ডা. কমলেশ বাগচীকে জানান। তখন তিনি শারীরিক পরীক্ষা শেষে রোগীকে মৃত ঘোষণা দিয়ে সনদ প্রদান করেন। এতে রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে চিকিৎসকে মারধর করে আহত করে। পরে হাসপাতালে দায়িত্বরত কর্মচারীরা তাকে উদ্ধার করে পাশের কক্ষে রাখেন। তখন হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই