১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৩:১৮

বরযাত্রী বেশি যাওয়া ও কম স্বর্ণালঙ্কার আনায় বিয়ে বাড়িতে তুমুল সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক

বরযাত্রী বেশি যাওয়া ও কম স্বর্ণালঙ্কার আনায় বিয়ে বাড়িতে তুমুল সংঘর্ষ

সংগৃহীত ছবি

বিয়ের পর কনে তুলে নেওয়ার অনুষ্ঠানে বর পক্ষ তাদের দেওয়া কথামতো ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণালঙ্কার না দেওয়ায় এবং ৬০ জনের পরিবর্তে ১২০ জন বরযাত্রী আনায় বাগবিতণ্ডার জেরে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ছয়জন আহত হয়েছেন। গত শুক্রবার বিকালে গাজীপুরের শ্রীপুরে গোসিঙ্গা ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহতরা হলেন- আলামিন হোসেন, শাহনাজ আক্তার, রফিকুল ইসলাম, আরিফ হোসেনসহ আরও দুজনের। 

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, উভয়পক্ষ থানায় উপস্থিত হয়ে পৃথক অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরপক্ষের লোকজনের দাবি, কনের বাড়ির লোকজন তাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। ঘরে দরজা বন্ধ করেও পিটিয়েছেন। প্রাণে বাঁচতে তারা বরকে নিয়ে পালিয়ে এসেছেন।

কনের বাবা তোতা মিয়ার দাবি, তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের সাঈদ ফকিরের ছেলে রাকিব ফকিরের সঙ্গে মঙ্গলবার ১৫ ফেব্রুয়ারি তার মেয়ের বিয়ে হয়। বর পোশাক কারখানায় চাকরি করেন এবং কনে স্থানীয় মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করেছে। বিয়ের পর উভয় পরিবারের সম্মতিতে শুক্রবার কনেকে তুলে নেওয়ার কথা ছিল এবং বরপক্ষ থেকে ৬০ জন মেহমান আসার কথা। তারা ৬০ জনের পরিবর্তে ১২০ জন মেহমান নিয়ে আসেন। দুপুরে খাওয়া শেষে একটি ছোট স্বর্ণের চেইন নিয়ে বউ সাজাতে ঘরে যান বরের আত্মীয়-স্বজন।

তিনি দাবি করেন, পরে তাদের কথামতো ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে না আসায় উভয় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারি শুরু হলে উভয়পক্ষের ছয় জন আহত হন। তখন বর পক্ষের সঙ্গে আসা মেহমানরা ঘরের আসবাবপত্রসহ ডেকোরেশনের চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করেন। 

কনের বাবার আরও দাবি করেন, উভয়পক্ষের সম্মতিতে তিন লাখ টাকা দেনমোহরে তিন দিন আগে তাদের বিয়ে হয়। শুক্রবার মেয়েকে তুলে নেওয়ার কথা ছিল বরপক্ষের। ৫০ হাজার টাকা ওয়াসিল দেওয়ার কথা থাকলেও তারা ছোট একটি চেইন নিয়ে আসেন। বর পক্ষ ইচ্ছা করেই পরিকল্পিতভাবে মেয়ে না নেওয়ার জন্য কথার বরখেলাপ করে ঝগড়া সৃষ্টি করেছে।  

বরের বাবা সাঈদ ফকির বলেন, “শুক্রবার আত্মীয়-স্বজনসহ ছেলেকে নিয়ে বউ আনতে গিয়েছিলাম। ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণালঙ্কার না নেওয়ায় কনে পক্ষ বউ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তখন বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। বরের সঙ্গে যাওয়া নরী স্বজনদের হামলা করে আহত করে এবং তাদের পরনে থাকা কানের দুল, নাক ফুল, গলার চেইনসহ সঙ্গে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেয়। কনেপক্ষের লোকজন মেহমানদের পিটিয়ে আহত করে।”

তারা কনে না নিয়েই শ্রীপুর এসে বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর