রংপুরের কারমাইকেল কলেজের জিএল হোস্টেলে শিক্ষার্থীদের মারপিট ও ভাঙচুর করেছে বহিরাগতরা। শনিবার রাতে জিএল হোস্টেলে এ ঘটনা ঘটে। বহিরাগতদের হামলায় কমপক্ষে ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর রবিবার পুলিশ ৪ বহিরাগতকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে কারমাইকেল কলেজ ক্যাম্পাসের বাংলামঞ্চের সামনে মার্কেটিং বিভাগের ১ম বর্ষের আহসান নামে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে বহিরাগত এক মাদকাসক্ত টোকাই এর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে বহিরাগতদের একটি গ্রুপ ওই শিক্ষার্থীর উপর হামলা করে। পরে খবর জানতে পেরে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা এসে বহিরাগতদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। পরে রাত ৮টার দিকে ৪০ থেকে ৫০ জন বহিরাগত ছেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে ক্যাম্পাসে জিএল হোস্টেল এ হামলা চালায়। এ সময় তারা কয়েকটি রুমে ভাঙচুরও করে। এ ঘটনায় হল মনিটর আকিমুল ইসলাম ইমনসহ কমপক্ষে ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আকিমুল ইসলামকে গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর পরই বহিরাগত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, ক্যাম্পাসে দ্রুত পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনসহ কয়েক দফা দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বিক্ষোভ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা। মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আসিফ হোসেন বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব সময় ছিল এবং আগামীতেও থাকবে। বহিরাগতরা এভাবে ক্যাম্পাসের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে। হামলাকারী বহিরাগতদের গ্রেফতার ও যথাযথ শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের যেকোনো কর্মসূচিতে পাশে থাকবে ছাত্রলীগ।
কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন বলেন, আমার ক্যাম্পাসে আমার শিক্ষার্থী নয় আমার সন্তানদের উপর হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানার ওসি নাজমুল কাদের বলেন, এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পরে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ