নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ খানকে বাসায় ঢুকে গুলির ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। চেয়ারম্যানের ছেলে আমিনুর রশিদ খান বাদী হয়ে পুটিয়া কামারগাঁও এলাকার আরিফ সরকারকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে শিবপুর মডেল থানায় এই মামলা করেন।
এদিকে হারুনুর রশিদ খানকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তৃতীয় দিনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগ ও শ্রমিকলীগ। সোমবার নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে ঘটনার নিন্দা এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করে জেলা ছাত্রলীগ শহর যুবলীগ, জেলা শ্রমিক লীগ।
মামলার আসামিরা হলেন, পুটিয়া কামারগাঁও এলাকার আরিফ সরকার, পূর্ব সৈয়দনগর এলাকার মৃত আয়েছ আলীর ছেলে মো: মহসিন মিয়া (৪২), পুটিয়া কামারগাঁও এলাকার সুরুজ মোল্লার ছেলে ইরান মোল্লা (৩০), মুনসেফেরচর এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে শাকিল (৩৫), কামারগাঁও এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে হুমায়ূন (৩২) ও নরসিংদী সদর থানার ভেলানগর এলাকার ড্রাইভার নূর মোহাম্মদ (৪৮)।
শিবপুর থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, এই মামলায় এখন পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ রয়েছে। দ্রুতই গুলির প্রকৃত কারণ জানা ও জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া গ্রেফতারকৃতদের আজ সোমবার আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান ওসি ফিরোজ তালুকদার।
এদিকে হারুনুর রশিদ খানকে গুলি করে হত্যা চেষ্ঠার ঘটনায় তৃতীয় দিনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগ। সোমবার নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে ঘটনার নিন্দা এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করে জেলা ছাত্রলীগ শহর যুবলীগ, জেলা শ্রমিক লীগ।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল, শ্রমিক লীগের আহব্বায়ক রিপন সরকার, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন ইউনিটের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বাণ চৌধুরী জানান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে হত্যার চেষ্টা ও গুলির ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ১০/১৫ জন অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ