বিদেশে থাকা সাবেক স্বামীর পরিকল্পনায় গৃহবধূ রাশিদা বেগম রুশিকে (৩০) পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে হত্যার ঘটনায় দুজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ রায় দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, জেলা ও দায়রা জজ মো. হাফিজুর রহমান।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীর মোল্যা ও চুন্নু মাতুব্বর পলাতক ছিলেন। এ মামলায় অপর পাঁচ আসামিকে খালাস প্রদান করা হয়।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালে রাশিদা বেগম রুশির সাথে বিয়ে হয় ফরিদপুরের সদরপুরের ঢেউখালী ইউনিয়নের বারেক মোল্যার ছেলে জাহাঙ্গীর মোল্যার। তাদের সংসারে রুহান নামে এক পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য জাহাঙ্গীর বিভিন্ন সময় মারপিট করতো রাশিদা বেগমকে। এরই মাঝে জাহাঙ্গীর আরেকটি বিয়ে করে সংসার করতে থাকে। একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর মোল্যা রাশিদাকে তালাক দেয়। রাশিদা এসময় তার পুত্র সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে।২০১২ সালের ১৩ জানুয়ারি গৃহবধূ রাশিদা বেগম রুশিকে রাতে পরিচিত এক ব্যক্তি ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে শ্বাসরোধ করে রাশিদা বেগমকে হত্যা করে দশহাজার গ্রামের হাফেজ মুন্সীর মেহগনি বাগানের একটি গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পরদিন সকালে পুলিশ রাশিদার লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে রাশিদা বেগমের সাবেক স্বামী জাহাঙ্গীর মোল্যা ও চুন্নু মাতুব্বরকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। মামলায় অপর পাঁচ আসামিকে খালাস প্রদান করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই