জাতীয় শিশু দিবসটিকে নতুন প্রজন্মের কাছে আরও অর্থবহ করে তুলতে নেত্রকোনায় নেওয়া হয়েছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। সরকারি আয়োজনের পাশাপাশি আগামী ১৭ মার্চ নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে প্রথম যে শিশুটি জন্ম নেবে তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বরণ করে নেবে জেলা প্রশাসন। শিশুর বাবা-মায়ের সম্মতি থাকলে নামকরণ করবে জেলা প্রশাসন।
বুধবারে আয়োজতি প্রস্তুতি সভায় জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ এমন আয়োজনের কথা জানান। তবে শিশুর জন্ম হতে হবে জেলা সদর হাসপাতালে। কোনো বেসরকারি ক্লিনিকে হলে হবে না বলেও উল্লেখ করেছেন। এতে করে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম আরও বেগবান হবে বলে মনে করেন সভায় উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাসহ সুশীল নেতৃবৃন্দ।
বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ পালন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসক।
মার্চ মাসে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের সভাপতিত্বে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মামুন খন্দকারের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ফখরুজ্জামান জুয়েল, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল আমিন, পৌরসভার প্যানেল মেয়র এস এম মহসীন আলম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অতাউর রহমান মানিকসহ অন্যান্যরা। এতে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল দপ্তরের প্রধানরা এবং সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ সকলের মতামত নিয়ে ব্যতিক্রম এই আয়োজন হাতে নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই