বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ে গাড়ি প্রতি ৮-১০ সেকেন্ড সময় লাগে। মডার্ন কম্পিউটারাইজ টোল কালেকশন সিস্টেমে টাকা আদায় করা হয় বলে স্বল্প সময় লাগে। দ্রুত টোল আদায়ের কারণে কোন যানজট সৃষ্টি হয় না। প্রতিদিন গড়ে ১৮-২০ হাজার গাড়ি এ সেতু দিয়ে চলাচল করে থাকে। আর ঈদ উৎসবে যানচলাচল কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তবে সেতুর উপরে বা সেতু সংলগ্ন সড়কে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে টোল আদায়ে সমস্যাসহ যানজটের সৃষ্টি হয় বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান পাভেল জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুর পুর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের অদুরে গোলচত্ত্বর থেকে দুটি লেনে ভাগ করা রয়েছে। বাস-মাইক্রোবাস, কার ও মোটরসাইকেলের জন্য একটি লেন এবং ভারী যানবাহন যেমন ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের জন্য একটি লেন। বাস, মাইক্রোবাস কার ও মোটরসাইকেল সরাসরি টোল প্লাজায় ঢুকে পড়ে এবং ৮-১০ সেকেন্ডের মধ্যে টোল প্রদান করে সেতুর উপর উঠে যায়। অন্যদিকে ট্রাক ও পণ্যবাহী ভারী যানবাহনগুলো ওজন স্কেলে আসার পর সেখানে ওজন পরিমাপ করা হয়। ওজন সঠিক থাকলে সরাসরি টোল প্লাজায় এসে টোল প্রদান করে সেতুর উপর উঠে যায়। ওজনে বেশি হলে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
তিনি আরো জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে ৯টি করে ১৮টি টোল সিস্টেম রয়েছে। দুটি মোটরসাইকেলের জন্য এবং বাকিগুলো ভারী যানবাহনের টোল আদায়ের জন্য ব্যবহার হয়। গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১৮-২০ হাজার যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে পারাপার হয়। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করায় টোল আদায়ে কম সময় লাগে। তবে সেতুতে বা সেতু সংলগ্ন মহাসড়কে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তখন যানজট সৃষ্টি হলে টোল আদায়ে বিঘ্ন ঘটে।বিডি প্রতিদিন/এএ