২২ মার্চ, ২০২৩ ১৭:৫৫

ঠাকুরগাঁওয়ে সোলার পাম্পে কৃষকের মুখে হাসি

আব্দুল লতিফ লিটু, ঠাকুরগাঁও


ঠাকুরগাঁওয়ে সোলার পাম্পে কৃষকের মুখে হাসি

বাড়তি খরচ বা কোন ঝামেলা না থাকায় সোলারের দিকে আগ্রহ বাড়ছে ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকদের। বিদ্যুৎ নিয়ে বাড়তি চিন্তা মাথা থেকে পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলে দিয়েছেন তারা। সেই সাথে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিকল্প পদ্ধতিতে সোলার সেচ পাম্পের মাধ্যমে সেচ সুবিধা নিচ্ছে জেলার কৃষকরা। সময়ের বিবর্তনে আধুনিক হয়েছে সবকিছু। খম করছে সেচ সুবিধা পাওয়ায় খুশি কৃষকেরা।

ঠাকুরগাঁওয়ের মাঠে মাঠে বোরো ধান আবাদে কৃষকের ব্যস্ততা বেড়েছে। ভাল ফলন পেতে জমি পরিচর্যায় ভোর থেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার কৃষকেরা। আগাছা তোলা, সার কিটনাষক প্রয়োগ ও সেচ দেওয়া থেকে শুরু করে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন কৃষক। 

এদিকে বাজারে ডিজেলে ও তেলের দাম বৃদ্ধিসহ জমিতে সার ও কিটনাষক প্রয়োগে উৎপাদন ব্যয় কমাতে এখন সোলারে সেচ সুবিধায় অকেটাই স্বস্তি মিলেছে কৃষকের। বাড়তি খরচ বা ঝামেলা না থাকায় সোলারের দিকে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। ডিজেল চালিত মেশিনে একবিঘা জমির ধান উৎপাদনে সেচ নিতে চার হাজার টাকা খরচ হলেও সোলারে ব্যয় কমেছে অর্ধেকে। ভোগান্তি নিরসনের পাশাপাশি মাত্র দুই হাজার টাকায় ইচ্ছেমত সেচ সুবিধাসহ মাঠ থেকে মেশিন চুরির ভয় কেটেছে কৃষকের। কৃষি বিভাগ ও কৃষকেরা বলছে সোলার পাম্পের মাধ্যমে জমিতে সেচ দিয়ে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এতে ডিজেল ও বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীলতা কমছে। সেই সাথে কৃষকেরা উৎপাদন খরচ কমে আসছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে জেলায় বোরো আবাদ হয়েছে ৬১ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে। জেলায় ১৬০টি সোলার পাম্পের সাহায্যে ৮শ ৫ হেক্টর জমিতে কৃষকেরা সেচ দিচ্ছেন।

সদর উপজেলার মোলানী গ্রামের ফয়জুল হক নামের এক কৃষক বলেন, সোলারের মাধ্যমে পানি দিলে সমস্যা হয়না। বাড়তি লোকের প্রয়োজন নেই। কিন্তু আগে যখন শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি দিতাম তখন বাড়তি লোক লাগতো। খরচও হতো বেশি। সেই সাথে শ্যালো দিয়ে পানি দিতে প্রচুর শ্রম দিতে হতো।

জয়নাল নামের আরেক কৃষক বলেন, আমি সোলারের মাধ্যমে জমিতে সেচ দিচ্ছি। এখানে কষ্ট অনেক কম। বর্তমানে ১ বিঘা জমিতে সোলার প্যানেল দিয়ে সেচ দিতে খরচ হচ্ছে ২ হাজার টাকা। অপরদিকে শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিতে খরচ হয় ৩ হাজার টাকা।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) নইমুল হুদা সরকার বলেন, সোলার প্যানেল ব্যবহারে কৃষকের খরচ এক তৃতীয়াংশ কমে গেছে। এ জন্য কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমে এসেছে। কৃষি বিভাগ সোলার পাম্পের মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থা বৃদ্ধির লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর