২৯ মার্চ, ২০২৩ ১৬:২৭

চরভদ্রাসনে মাছ শিকারে ব্যবহার হচ্ছে অবৈধ কারেন্ট জাল

চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

চরভদ্রাসনে মাছ শিকারে ব্যবহার হচ্ছে অবৈধ কারেন্ট জাল

চরভদ্রাসনে মাছ শিকারে ব্যবহার হচ্ছে অবৈধ কারেন্ট জাল

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীতে কারেন্ট জাল দিয়ে চলছে মাছ শিকার। জেলেদের জালে নিধন হচ্ছে জাটকা। বুধবার বেলা এগারোটার দিকে সদর ইউনিয়নের গোপালপুর ঘাট সংলগ্ন এলাকায় জেলেদের কারেন্ট জাল নিয়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়।

নদী, সমুদ্র ও দেশীয় জলাশয়ে অনেক বছর আগেই আইন করে কারেন্ট জাল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবুও চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীতে নির্বিঘ্নে চলছে কারেন্ট জালের ব্যবহার। আর তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ছে জাটকা বা বাচ্চা ইলিশের উপর। প্রতিবছর নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত জাটকা ধরায় সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

সদর ইউনিয়নের কাজীবাড়ী ঘাট এলাকায় কারেন্ট জাল নিয়ে নদীতে মাছ শিকারে প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়  সিরাজগঞ্জের নুর আমীনকে। কারেন্ট জাল ব্যবহার অবৈধ কিনা জানতে চাইলে অবলীলায় তা স্বীকার করে বলেন, পূর্ব পুরুষের কর্ম তাই অবৈধ জেনেও কারেন্ট দিয়ে মাছ ধরেন। তবে তিনি জাটকা ধরেন না, অন্য মাছ ধরেন।

স্থানীয়রা জানায়, নদীতে তেমন কোনো তদারকি না থাকায় প্রকাশ্যেই চলে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকার। আর এসব মাছ বেশির ভাগ চলে যাচ্ছে চরভদ্রাসনের সদর বাজার, চর হাজিগঞ্জ বাজার, দোহারের মইনুট, সদরপুরের কালিখোলা বাজারে। বিশেষ করে চর হারিরামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে প্রকাশ্যে চলে জাটকা কেনাবেচা। ওই এলাকায় তিনশত কেজি মূল্যে জাটকা বিক্রি হয়। আর এ সমস্ত মাছ ধরার একমাত্র অন্যতম মাধ্যম কারেন্ট জাল।

এ বিষয়ে চর হরিরামপুরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ বিল্লাল বলেন, বিভিন্ন বাজারে জাটকা বিক্রি হয় কিন্তু আমরা কী করব? এলাকার মানুষ, কিছুতো বলা যায় না। এরপর থেকে তাদের নিষেধ করব।

কারেন্ট জাল ব্যবহার ও জাটকা মারার বিষয়ে অবগত রয়েছেন বলে জানান মৎস্য কর্মকর্তা মো. মুস্তাফিজুর রহমান।  তিনি বলেন, নিয়মিত বিভিন্ন বাজারে ও নদীতে অভিজান পরিচালনা করা হচ্ছে। আজও সদর বাজার থেকে জাটকা জব্দ করা হয়েছে এবং তা স্থানীয় এক মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালিত হবে। এ নিয়ে এখন একটু ব্যস্ততা রয়েছে। এরপরে আবার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর