মাত্র মুকুল থেকে জন্ম হচ্ছে আমের। কিন্তু হঠাৎ কাল বৈশাখীর তাণ্ডবে মলিন হয়েছে কৃষকের মুখ। পাহাড়ে ঝড়ো হওয়ার তীব্রতায় ঝরছে আমের মুকুল। প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যা নামার আগেই কাল বৈশাখীর তাণ্ডব চলছে পাহাড়ে। কখনো ঝড়ো হওয়া। আবার কখনো ভারী বৃষ্টি। ভেঙে পড়ছে গাছপালা। এতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আম বাগান। ছোটগুটি আম পরিপূর্ণ হওয়ার আগেই লুটিয়ে পড়ছে মাটিতে। কৃষকের কষ্টের ফল এভাবে নষ্ট হতে দেখে হতাশাগ্রস্ত হচ্ছে কৃষিবিভাগও।
রাঙামাটি কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি জেলায় আম রূপালী, রাংগুই ও হাড়িভাঙ্গাসহ বাগান রয়েছে ৩ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে। এসব বাগানের মধ্যে সবচেয়ে বড় আমের বাগান বাঘাইছড়ি, সাজেক, রাজস্থলী, লংগদু, কাপ্তাই ও বন্দুক ভাঙায় রয়েছে। মুকুলও এসেছিল বাম্পার। আর সে মুকুল গুটি আমে পরিণত হতেও তেমন সময় লাগেনি। কিন্তু সম্প্রতি কাল বৈশাখীর ঝড়ো হওয়ায় বেশিরভাগ আম বাগানে প্রভাব পড়ছে।
রাঙামাটি বাঘাইছড়ির আম চাষি সুনীল চাকমা জানায়, এ মৌসুমে ব্যাপক গুটি আম এসেছে। কিন্তু কাল বৈশাখী ঝড়ো হাওয়ায় ভেঙে পড়ছে আম গাছের ডাল। তাই মুকুল ও গুটি আম ঝরে যাচ্ছে। যদি ঝড়ের প্রভাব আরও থাকে তাহলে বড় হওয়ার আগেই আম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
একই কথা জানালেন আরেক চাষি অমিত চাকমা। ঝড়ের সাথে শিলা বৃষ্টিটা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে ফসলকে। শিলা বৃষ্টির কারণে আমের উপর শিলার দাগ পড়ছে।
জানা গেছে, শুধু আম নয়, রাঙামাটিতে কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তরমুজ ক্ষেতও। পরিপূর্ণ হওয়ার আগেই বাজারে নিতে হচ্ছে তরমুজ।
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তপন কুমার পাল জানান, রাঙামাটিতে কৃষি আবাদ ভালো হয়েছে। আমের মুকুল দেখে মনে হয়েছিল বাম্পার ফলন পাবে চাষিরা। কিন্তু কাল বৈশাখীটাই এখন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে গাছ ও মুকুল সুরক্ষার জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে কৃষি কর্মীরা। এছাড়া আমের ফলন যাতে ভালো হয়, সে বিষয়েও কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই