শরীয়তপুরে ডামুড্যায় সড়কে যানবাহন আটকিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে শ্রমিক লীগের সভাপতিকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা চত্ত্বর থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়। পরে দুপুরে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
আটকৃত হলেন- ডামুড্যা উপজেলার শ্রমিক লীগের সভাপতি কালাম চৌকিদার। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডামুড্যা উপজেলায় যত অটোরিকশা, সিএনজি চলে সেগুলো থেকে প্রতিদিন ৫০ টাকা করে তুলতেন। এছাড়া নতুন কোনও গাড়ি চলাচল করলে তাকে ৫০ হাজার করে টাকা দিতে হতো। টাকা না দিলে সে গাড়ি ধরে নিয়ে এসে তার লোকজন দিয়ে চালিয়ে টাকা উঠিয়ে নিতেন।
বুধবার সকালে জুলফিকার আলী নামে এক ব্যক্তি ডামুড্যা থানায় একটি চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি কালাম চৌকিদারের বিরুদ্ধে। তার ছেলে চট্রগ্রাম থেকে সিএনজি এনে চালালে তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে স্থানীয়দের সাথে বসে ৫ হাজার টাকায় রফাদফা করা হয়। পরে তাদের সেই সিদ্ধান্ত তিনি না মেনে চাঁদার টাকা পুরোপুরি না পাওয়ায় জুলফিকার আলীর ছেলের সিএনজিটা জোড় করে নিয়ে আসে। গাড়ি এনে চালক দিয়ে চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা উসুল করবে জানানো হয়। তার এই অভিযোগের প্রেক্ষাপটে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
কালাম চৌকিদারের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে। তার নেতৃত্বে ডামুড্যায় মাদক বিক্রি, চোরাই অটোগাড়ি বিক্রি হয়। এছাড়াও অন্যের জায়গা দখল করে নিজের অফিস বানিয়েছে সে। এছাড়া ডামুড্যায় যত গাড়ি চুরি হয়, সেই চোরাই গাড়ির দরবার হয় তার অফিসে। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১১টি মামলা হয়েছে, আটটি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে।
শরীয়তপুর জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ওয়াদুদ সরদার জানান, আমাদের সংগঠনে কোনও চাঁদা বাজের জায়গা নেই। দোষী প্রমাণ হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
ডামুড্যা থানার ওসি শেখ শরীফুল আলম জানান, কালাম চৌকিদারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজির অভিযোগ আমাদের কাছে আসছিলো। ঘটনাটি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ার পর তাকে আমরা গ্রেফতার করি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জায়গায় দখল, মাদক বিক্রি, চোরাই গাড়ি বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। আদালতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বিরুদ্ধে রিমান্ড চাওয়া হবে। পরে হয়তো আরও বিস্তারিত জানা যাবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ